রবীন্দ্র সরোবরে নৃত্য, গান ও কবিতায় নবান্ন উৎসব উদযাপিত

বাংলার কৃষিসংস্কৃতি ও শস্যনির্ভর জীবনচর্চার প্রাচীনতম উৎসব নবান্নকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হলো নবান্ন উৎসব ১৪৩২। রোববার বিকেল ৪টায় ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে ষড়ঋতু উদযাপন জাতীয় পর্ষদের আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। নাচ, গান, কবিতা, নবান্নকথনে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিল লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলা।
সম্মিলিতকণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা ঘটে। এরপর সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত লেখক, শিল্পী ও সুধীজনরা বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ষড়ঋতু উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পর্ষদের সদস্য সচিব দীপান্ত রায়হান।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘নবান্ন কেবল একটি মৌসুমি উৎসব নয়; এটি বাংলার পরিশ্রমী মানুষের জীবনচেতনা, সমবায়ের রীতি এবং শিল্প-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক। নতুন ধানের সুবাস, প্রকৃতির সোনালি রূপ এবং কৃষকের পরিশ্রমকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়েই এই উৎসবের মূল দর্শন তৈরি হয়েছে।’
উদ্বোধনী পর্বের পর একে একে পরিবেশিত হয় দলীয় ও একক নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, গান ও কবিদের কণ্ঠে কবিতাপাঠ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এহসান মাহমুদ বলেন, ‘নবান্ন কেবল ফসলের আনন্দ নয়; এটি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের শক্তিশালী বাহক। আমরা চাই এই উৎসব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবহমান থাকুক।’
ষড়ঋতু উদযাপন জাতীয় পর্ষদের সদস্য সচিব দীপান্ত রায়হান বলেন, ‘এই আয়োজনের লক্ষ্য বাংলার কৃষি-ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের গভীর সম্পর্ক স্থাপন করা।’
উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, আলেয়া বেগম, কোহিনূর আক্তার গোলাপী, ডলি মণ্ডল ও সাগর বাউল।
ভিওডি বাংলা/ এমএম







