• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিচারের নামে তামাশা চলছে: তারেক

ভিওডি বাংলা ডেস্ক    ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৬ পি.এম.
আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান। ছবি-সংগৃহীত

মনের অজান্তে সবাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে এবং বিচারের নামে তামাশা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান।

তিনি দাবি করেন, তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটাই ফাঁস হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের রায় ঘোষণার আগে তিনি একজন নিরপেক্ষ চিফ প্রসিকিউটর নিয়োগের দাবি জানান। রোববার (১৬ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন কথা বলেন মো. তারেক রহমান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আমাদের দেশটাকে আমাদের ভালোবাসতে হবে, সেটা আমাদের মতো করে নয়। সবার মতো করে। ক্ষমতার এই দাপট থাকবে না, হুংকার নরম হয়ে আসবে। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া পরবর্তী সরকার কোনোভাবেই শক্তিশালী হবে না।

মো. তারেক রহমান বলেন, মনের অজান্তে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে সবাই, বিচারের নামে তামাশা চলছে। এককালের মানবতাবিরোধী আসামির পক্ষ নেওয়া আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাহেব আজ নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কারো বিচার করছে, এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে। বিষয়টা বিচারকে ৭১-এর মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধের মতো লাগছে। রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তিকে চিফ প্রসিকিউটর করার দাবি জানাচ্ছি। এটা বিচারকে অধিক গ্রহণযোগ্য করবে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মো. তারেক রহমান বলেন, 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে মামলায় একটাই প্রশ্ন আমার, এই বিরাট হত্যাকাণ্ড কি একেবারেই মিথ্যা?'

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ীদের কাছে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে মামলাগুলো দিয়ে নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে, তার ৯০% কি মিথ্যা নয়? বলবেন ঘটনা সত্য, আমিও বলছি ঘটনা সত্য। প্রশ্ন হলো- একেকটা মামলায় ১৫০-২০০ জনকে জড়িয়ে অন্যায়ভাবে তা কি রাষ্ট্র প্রমাণ করতে পারবে? যার গুলিতে মারা গেছেন, তাকে ছাড়া সবাইকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এই মিথ্যা মামলাগুলো জুলাইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়েছে নাকি বাড়িয়েছে।'

ওই পোস্টে মো. তারেক রহমান বলেন, পলাতককে হয়ত ফাঁসির রায় দেবে, যাকে এ জীবনে দেশে আনা যাবে না, আর আটককে রাজসাক্ষী বানিয়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে।মারাত্মক বিচার চলছে, দুজনেই বেঁচে গেল।

এই বিচারকার্য নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানান আমজনতার দলের সদস্য সচিব। তিনি বলেন, জুলাই নিয়ে বিচার ও আইনি গতিপথ পুরোটাই পথভ্রষ্ট। তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটাই ফাঁস হয়ে গেছে, আইজিপি মামুনকে নিয়ে একটা বড় দান মেরে দিয়েছে। পুরো জুলাই মামলা তাদের নির্বাচনী ব্যায়ের-আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। আবার দেখবেন লোক দেখানো বিচার করতে দু-চারজন এমপি মন্ত্রীকে ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারে।

নিজের চাওয়া জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমি আসলে কী চাই, আমি চাই ন্যায়বিচার। আদালতে যেমন ন্যায়বিচার চাই। ভোটের মাঠেও ন্যায়বিচার চাই। আদালতের পাশাপাশি জনগণও রায় দিক। শুধু মুখে মুখে বললেই তো হবে না, উমুক খারাপ। জনগণের ভোটে কে খারাপ কে ভালো তার প্রতিফলন ঘটুক। ভোটে হারার ভয়ে প্রতিপক্ষকে ভোটের মাঠের বাহিরে রাখতে চাওয়া ফ্যাসিজম ছাড়া আর কি?

ভিওডি বাংলা/ এমএম

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিজানুর রহমান আজহারীর সব বিভাগীয় তাফসির মাহফিল স্থগিত
মিজানুর রহমান আজহারীর সব বিভাগীয় তাফসির মাহফিল স্থগিত
রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতায় ফিরতে মরিয়া শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব
রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতায় ফিরতে মরিয়া শেখ হাসিনা: প্রেস সচিব
সেনাপ্রধান ও নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার, যা জানাল সেনাবাহিনী
সেনাপ্রধান ও নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার, যা জানাল সেনাবাহিনী