অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: মেহজাবীন চৌধুরী

পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার করার কথা বলে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। মামলার কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মেহজাবীন তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি পুরো ঘটনাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন এবং অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
মামলা করেন আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি মেহজাবীন ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তারা ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মেহজাবীন জানান, ২০২৫ সালের মার্চে দায়ের করা মামলার বিষয়ে তিনি গত ৯ মাস কিছুই জানতেন না, কারণ অভিযোগকারী তার সঠিক ফোন নম্বর বা ঠিকানা পুলিশ ও আদালতকে দেননি। তিনি অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্টভাবে খণ্ডন করেছেন।
অভিনেত্রী বলেন, অভিযোগকারীর আর্থিক দাবির কোনো প্রমাণ নেই। তিনি ২৭ লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করলেও কোনো ব্যাংক লেনদেন, চেক, বিকাশ লেনদেন, লিখিত চুক্তি, রশিদ বা সাক্ষীর প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেহজাবীন ও তার ভাই বাদীকে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন। মেহজাবীন এই অভিযোগকেও ‘সম্পূর্ণ প্রমাণহীন’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গত নয় মাসে অভিযোগকারী কোনো সিসিটিভি ফুটেজ বা সাক্ষীর প্রমাণ দেখাতে পারেননি, যদিও হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা।
মেহজাবীন স্পষ্ট করেন, গত নয় মাসে তিনি কোনো আইনি নোটিশ পাননি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর পাওয়ার পরও তিনি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছেন।
তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রমাণ ছাড়া দায়ের করা মামলা কখনো সত্য হয়ে যায় না। সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হবে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘কারো উদ্দেশ্য যাই হোক, আমার বা পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হলে সত্য অবশ্যই পরিষ্কার হবে।’
মেহজাবীন তার ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের পরিশ্রম উল্লেখ করে বলেন, ‘এই পরিশ্রমের পরও আজ আমাকে এসব ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে- এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক।’
ভিওডি বাংলা/জা




