শেখ হাসিনার রায়ের দিনে পুঁজিবাজারে উজ্জ্বল উত্থান

শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিনে দেশের পুঁজিবাজারে হঠাৎ উজ্জ্বলতা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন পতনের পর আজ সূচক ও লেনদেনে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে ‘ঝলক’ বা হঠাৎ করে আসা উজ্জ্বল আলোর প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে।
বেশ কিছুদিন ধরে পতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া বাজারে এদিন সূচকের সঙ্গে লেনদেনেও গতি বেড়েছে। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। এর মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে, বেড়েছে তার ৯ গুণ বেশি সংখ্যকের দর।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ফলে, এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা ১১ কার্যদিবস পতনের পর সিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে লেনদেনের শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় মূল্যসূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১৬ পয়েন্ট কমে যায়। তবে, বেলা ১১টার পর থেকে বাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম কমার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধারা অব্যাহত থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৩২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৫টির। দরপতনের তুলনায় দরবৃদ্ধি হওয়া সিকিউরিটিজের সংখ্যা ৯ দশমিক ২০ গুণ বেশি। তবে আজ দিনের ব্যবধানে ১৬টি শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
সবকয়েকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ৫ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৯৮ কোটি ১০ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। ১০ কোটি ৭২ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সমানভাবে উত্থান দেখা গেছে। ১৫৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০০টির দাম বেড়েছে। সিএসপিআই সূচক ৪১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার তুলনায় অনেক বেশি।
ভিওডি বাংলা/জা



