পকূলীয় অঞ্চলে লবণ সহনশীল ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কর্মশালা

সাতক্ষীরায় উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনা উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু ফসলের জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কক্ষে বিনার গবেষণা সম্প্রসারণ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঞা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিনার পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. হোসেন আলী, বিনার গবেষণা সম্প্রসারণ শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বিনা গবেষণা সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুল আলম তফাদার ও বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুজ্জামান।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ফসল উৎপাদন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন
পরিস্থিতিতে বিনা উদ্ভাবিত স্বল্পমেয়াদি, লবণসহনশীল ও অধিক ফলনশীল জাত কৃষকদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এসব জাতের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমছে, শস্যবিন্যাসে নতুন ফসল যুক্ত হচ্ছে এবং এক মৌসুমে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে, ফলে কৃষকের আয়ও বাড়ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শরিফুল হক ভূঞা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ করে সাতক্ষীরায় লবণাক্ততার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও ধানের পাশাপাশি ডাল, তেলবীজ, সবজি এবং আবাদযোগ্য জমি ব্যবস্থাপনায় নতুন উদ্ভাবন কৃষকদের জন্য বড় সহায়ক হবে। তিনি মাঠপর্যায়ে কৃষকের প্রশিক্ষণ ও উপযোগী জাত দ্রুত সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
সভাপতির বক্তব্যে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান কৃষি ব্যবস্থায় শস্যবিন্যাস পরিবর্তন করে অধিক লাভজনক ও জলবায়ু-সহনশীল জাত অন্তর্ভুক্ত করা এখন অত্যন্ত জরুরি। বিনা ও ডিএই যৌথভাবে এই উদ্যোগ আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষকেরা অংশ নেন। তারা মাঠের অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তির ব্যবহার, সমস্যা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
কৃষকরা জানান, লবণাক্ততার মধ্যেও টিকে থাকা নতুন জাতের ধান ও ডাল তাদের উৎপাদন বাড়িয়েছে। তবে তারা আরও অধিক প্রশিক্ষণ, বীজ সহায়তা এবং মাঠে সরাসরি প্রযুক্তি সেবা বৃদ্ধির দাবি জানান।
আয়োজকরা জানান, মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা বিনিময়, সর্বশেষ উদ্ভাবন উপস্থাপন এবং শস্যবিন্যাসে কৃষি প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আরও প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







