২২ বছর পর ভারতকে হারাল বাংলাদেশ

২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর আবারও ভারতের বিপক্ষে জয়ের হাসি দেখল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছে জাভিয়ার ক্যাবরেরার দল।
ম্যাচের শুরুতে ভারত বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলের দেখা পায় বাংলাদেশই। ম্যাচের ১১তম মিনিটে বাম দিক থেকে রাকিব হোসেনের দারুণ ক্রস ঠান্ডা মাথায় জালে পাঠান শেখ মোরছালিন। জাতীয় দলে তার সপ্তম গোলটি হয়ে ওঠে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের দরজা খোলার চাবিকাঠি।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়ে সেই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচজুড়েই লড়াকু পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলেছে লাল–সবুজেরা।
গোলের পরই ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। ৩৪ মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের মধ্যে সংঘর্ষে মাঠ গরম হয়ে ওঠে। হাতাহাতির পরে দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখাতে বাধ্য হন রেফারি। এর ঠিক আগে অনভিপ্রেত ভুলে গোল হজমের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের রক্ষণে, কিন্তু সেখানেই বড় ত্রাতা হয়ে ওঠেন হামজা চৌধুরী—ভারতের বিপজ্জনক ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করে দলকে বাঁচান।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে হামজার দূরপাল্লার শট সামান্য বাইরে গেলে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয়। তবুও বিরতিতে ১–০ লিড নিয়েই ড্রেসিং রুমে ফেরে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে ভারত আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। কয়েকটি অর্ধ–সুযোগ তৈরি করলেও সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ ও বদলি হিসেবে নামা শাকিল আহাদের দৃঢ় রক্ষণে বারবার হতাশ হয় অতিথিরা। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও স্কোরলাইনে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশই।
শেষ বাঁশি বাজতেই স্টেডিয়ামে উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ। দীর্ঘ ২২বছর পর ভারতকে হারিয়ে এই জয় বাংলাদেশ ফুটবলে নতুন উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ





