• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নোয়াখালী একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল

নোয়াখালী প্রতিনিধি    ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৩ পি.এম.
ছবি: ভিওডি বাংলা

সারাবিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি এখনও বলার মতো কোনো অবস্থানে নেই। বরং আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০% তরুণ হওয়া সত্ত্বেও আমরা তাদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে পারছি না। কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ার কারণেই আজ তারা ভিনদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। এর ফলে গার্মেন্টস, ঔষধ ও চামড়াশিল্পসহ সকল সম্ভাবনাময় শিল্প কারখানা আজ বন্ধের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা রেমিট্যান্সকেই আয়ের প্রধান খাত হিসেবে বেছে নিয়েছি।

নোয়াখালী অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সারাদেশের মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতেও ঢাকা ও নোয়াখালীসহ অনেক শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। একথা স্বীকার করতেই হবে যে, নোয়াখালীর মানুষ নিজেরা যেমন উন্নত, ঠিক তেমনি গত ৫৪ বছরে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর, অর্থাৎ বৃহত্তর নোয়াখালীতে বলার মতো কোনো শিল্প-কারখানা, সিটি কর্পোরেশন, শিক্ষা বোর্ড, বড় মেডিকেল হসপিটাল, বিমানবন্দর বা পর্যটন এলাকা, এমনকি আধুনিক সেনানিবাসও গড়ে ওঠেনি। এর জন্য আমি রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করব।

এখন আসা যাক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে। আমরা যদি জিডিপি প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে দেখতে পাব— ব্লু ইকোনমি, জাহাজ শিল্প, মেরিন বায়োটেকনোলজি, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, গভীর সমুদ্র বন্দর এবং আধুনিক শিল্প-কারখানা হতে পারে আমাদের মূল চালিকাশক্তি। এসব শিল্প থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন ও পরিবহন ব্যবস্থা সহজলভ্য হওয়ায় আমাদের মতো একটি ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশে যানজট ছাড়াই আমদানি-রপ্তানি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করে ন্যূনতম ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।

যেহেতু নোয়াখালীর সাথে ঢাকা-সহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত এবং দূরত্বও কম, এবং প্রতিনিয়ত এই অঞ্চলে নতুন চর জেগে উঠছে, তাই এর সম্ভাবনা অপরিসীম। তাছাড়া চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার মতো জেলাগুলো পাশাপাশি হওয়ায় এখানকার তরুণ উদ্যোক্তাদের কাজে লাগিয়ে একটি মেগাসিটি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, যা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এর জন্য দরকার শুধু একটি বিকল্প রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিকল্পনা এবং ঐক্য। এর অপার সম্ভাবনা ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছে।

কথায় আছে— "তরুন জাগবে তো বাংলাদেশ জাগবে।" বাংলাদেশের অর্থনীতির পালে নতুন হাওয়া লাগাতে এই তরুণরাই পারবে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এজন্য সবচেয়ে বেশি দরকার আমাদের সদিচ্ছা এবং দেশপ্রেম।
 

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন
কুমারখালী পৌরসভার সার্ভেয়ারের ঘুষিতে মারা গেলেন ট্রাক চালক
কুমারখালী পৌরসভার সার্ভেয়ারের ঘুষিতে মারা গেলেন ট্রাক চালক
গরু চুরি করতে না পারায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেলো চোরচক্র
গরু চুরি করতে না পারায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেলো চোরচক্র