‘সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক’-তারেক রহমান

সশস্ত্র বাহিনীর বলিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা এ বাহিনীকে জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত করেছে উল্লেখ করে ভবিষ্যতেও এ ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন। দিবসটিতে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সফলতা, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। সেই স্মরণে দিনটি প্রতি বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য ও শৃঙ্খলার মেলবন্ধনে গড়া এই বাহিনী জাতির গর্ব-যাদের ভূমিকা ’৭১-এর রণাঙ্গণে ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আজও অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন। পাশাপাশি বিশ্বশান্তি রক্ষায় তাদের অবদান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে।
তিনি বলেন, দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকা জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করেছে। ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছিলেন। তার সময়েই সশস্ত্র বাহিনী সুশিক্ষিত ও পেশাদার কাঠামো লাভ করে। পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও আধুনিকায়নের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
বাণীতে তিনি মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ সাতজন-সিপাহী মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিপাহী হামিদুর রহমান, রুহুল আমিন, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্যও কামনা করেন তিনি।
ভিওডি বাংলা/জা




