• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

মাছের দাম বাড়ল, সবজি-মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩০ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের বাজারগুলোতে দেখা গেছে, শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। এতে বাজারে বাড়তে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ। এর প্রভাবে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেশিরভাগ শাক-সবজিতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
 
বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা ও মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ ও ৪৫ টাকায়। আর প্রতি কেজি বরবটি ৬০ টাকা, পুরান আলু ৩০ টাকা, নতুন আলু ১৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচের জন্য গুনতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। 

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহবুদ্দিন বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবারহ বাড়তে শুরু করেছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সামনে দাম আরও কমবে।

সবজির দামের নিম্নমুখীতায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মধ্যেও। তারা বলছেন, সরবরাহ অনুযায়ী সবজির দাম আরও কমা উচিত। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিণী ফরিদা বলেন, শীতকাল অনুযায়ী সবজির দাম আরও কমা দরকার ছিল। তবু এখন দাম কমতে শুরু করায় বাজারে স্বস্তি ফিরছে। তবে বাজারে মনিটরিং চালু রাখতে হবে; নতুবা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে পারে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজের দাম। বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি রসুন ১৮০-২০০ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি না দিলে বা নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে না আসলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, আগের চড়া দামে ইলিশ বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে অন্যান্য মাছের দর। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২০০ টাকায়। আর ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। ইলিশ ব্যবসায়ী মো. শুকুর আলী বলেন, ‘বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন একটা নেই। ইলিশ কম আসছে। এতে দাম কমছে না।’

ইলিশের দাম নিয়ে বাজারে ক্রেতাদের স্পষ্ট ক্ষোভও লক্ষ্য করা গেছে। তারা বলেছেন, দাম তো কমছেই না। উল্টো বেড়ে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ কিনতে আসা সাইদুল বলেন, ‘ইলিশের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ইলিশ কেনার সামর্থ্য অনেকেরই নেই, ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যান্য মাছের দামও বেশ চড়া।’

সপ্তাহ ব্যবধানে দাম কিছুটা কমে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৮০০ টাকা, রুই ৩২০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১ হাজার ১০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা ও পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির দামে সামান্য কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকায় এবং লেয়ার মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভিওডি বাংলা/জা
 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ ধরনের সেবা বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ ধরনের সেবা বন্ধ
জরুরি সতর্কবার্তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান
জরুরি সতর্কবার্তা অর্থ মন্ত্রণালয়ের, বিভ্রান্ত না হবার আহ্বান
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন
২০২৬ সালে ব্যাংক বন্ধ থাকবে ২৮ দিন