স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করলেন খেলাফত মজলিসের

মাদারীপুর-২ (রাজৈর ও সদর) আসনের জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুস সোবহান। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে মাদারীপুর শহরের থানতলি এলাকায় দলটির জেলা কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিয়মকালে তিনি এ অঙ্গীকার করেন।
মতবিনিময়কালে মাওলানা আব্দুস সোবহান বলেন, আমি এমপি হলে জনগণ আমাকে সবসময় তাদের একজন সেবক হিসেবে কাছে পাবেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য বাসযোগ্য মাদারীপুর গড়বো। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূর, বাল্যবিবাহ বন্ধ, মানবপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবো। এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্যে দাম স্থিতিশীল রাখতেও মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং সেল গড়ে তোলাসহ জেলায় জরুরী প্রয়োজনে একদল স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখবো।
মাওলানা আব্দুস সোবহান আরও বলেন, আমি জীবনে হারাম খাইনি। জনগণের সেবক হলে আমি নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও কাউকে হারাম কিছু করতে দিবো না। জেলাকে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে আমি বদ্ধপরিকর।
এ সময় মাওলানা আব্দুস সোবহান বিগত এক বছরে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তিনি জানান, মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার ৫৭টি মসজিদ ও শতাধিক মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।
এ ছাড়াও দুই শতাধিক গরীব ও অসহায় শিক্ষার্থী পড়ালেখা খরচ ও ব্যয়ভার বহন, শীতার্থ মানুষের কল্যাণে প্রায় ১ হাজার কম্বল বিতরণ, মাদারীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলবদ্ধতা নিরসণের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় আধা কিলোমিটার রাস্তায় তিনি বালুর বস্তা ফেলে যাতায়াতের ব্যবস্থাসহ পৌরবাসীর অর্থসামাজিক উন্নয়নে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।
মাওলানা আব্দুস সোবহান ১৯৬২ সালে মাদারীপুর জেলার সদর থানাধীন শিরখাড়া ইউনিয়নের গুনশী গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাজী মুহাম্মদ লাল মিয়া খানের তৃতীয় পুত্র। বাল্যকালে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফোরকানিয়া মক্তবে ধর্মীয় ও জাগতিক শিক্ষা অর্জন শেষে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের জন্য ১৯৭৫ সালে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া কুরআনিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যুগশ্রেষ্ঠ শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. ও মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ. এর মতো প্রসিদ্ধ উলামায়ে কেরামের নিকট শিক্ষা অর্জন করে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য পাকিস্তানের করাচিতে জামেয়া আরাবিয়ায় ভর্তি হয়ে ১৯৮৬ সালে সেখান থেকে দাওরায়ে হাদীস তথা মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মাদরাসায় মুহাদ্দিসের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য ও সামাজিক খেদমতে নিয়োজিত রয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







