ভাঙ্গুড়ায় অভিযুক্ত যুবকের মরদেহ

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদপাড়া মহল্লায় প্রতিবেশী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়ভাবে সালিশ বসিয়ে জরিমানা ও মারধর করার পরদিন অভিযুক্ত যুবকের মরদেহ রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মারা যাওয়া যুবকের নাম হাফিজুল ইসলাম (২৪)। তিনি মসজিদপাড়া মহল্লার মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী (২৩) বছর বয়সী তরুণীকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন হাফিজুল—এমন অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি দেখে তরুণীর চাচি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে হাফিজুলকে ধরে একটি কক্ষে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এর পরদিন রাতে স্থানীয় কাউন্সিলর বরাত আলী, মোন্নাফ কসাই ও রবিউলসহ কয়েকজনের মধ্যস্থতায় সালিশ বসে। প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হলেও পরে তা কমিয়ে আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সালিশ চলাকালেই উপস্থিত কয়েকজন হাফিজুলকে মারধর করেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
এ ঘটনায় ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন এবং সেখানে শারীরিক নির্যাতনকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সালিশকারী বরাত আলীর মোবাইলে ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অপর সালিশকারী মোন্নাফ কসাই বলেন, ‘আমরা কোনো সালিশ করি নাই।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।
শুক্রবার সকালে চাটমোহর উপজেলার গুয়াখড়া এলাকায় রেললাইনের ওপর হাফিজুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। চাটমোহর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের পর রেলওয়ে পুলিশকে জানায়।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, ‘আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে বলে জেনেছি। ঘটনাস্থল আমাদের থানার বাইরে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





