শীতে ঠোঁট ও মুখে ঘা? ঘরোয়া উপায়েই মিলবে আরাম

শীত এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের কোণে ঘা হওয়া, এমনকি মুখ বা জিহ্বায় ছোট ছোট সাদা বা লালচে ঘা (অ্যাপথাস আলসার বা ক্যানকার সোর) দেখা যায়। এসব ঘা ব্যথাযুক্ত হওয়ায় ঝাল-মশলাদার খাবার তো দূরের কথা, পানি পান করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। কেন শীতে এ সমস্যা বাড়ে এবং ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে আরাম পাওয়া যায়-তা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস।
শীতে মুখে ঘা হওয়ার কারণ
১) পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশন
শীতে তৃষ্ণা কম লাগে, ফলে পানি কম পান করা হয়। এতে মুখের লালা কমে গিয়ে শ্লেষ্মা ঝিল্লি শুকিয়ে যায় এবং ঘা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
২) রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়া
শীতে সর্দি-কাশি বেশি হওয়ায় ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ঘা বা আলসার তৈরি করতে পারে।
৩) খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
ঠান্ডায় গরম থাকতে অনেকেই ঝাল, মশলা ও তেলযুক্ত খাবার খান। এসব খাবার মুখের ভেতরের সংবেদনশীল অংশে প্রদাহ বাড়িয়ে ঘা তৈরির কারণ হতে পারে।
৪) ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি
ভিটামিন বি১২, আয়রন, জিঙ্ক ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতির ফলেও মুখে ঘা দেখা দিতে পারে, যা শীতকালে খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাওয়ায় আরও বাড়ে।
পর্যাপ্ত পানি পান
দিনে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ঘা দ্রুত শুকায়।
মধু ও হলুদের পেস্ট
অল্প মধুর সঙ্গে এক চিমটি কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ঘা-এর ওপর লাগান। এতে ব্যথা কমে এবং প্রদাহ হ্রাস পায়।
লবণ-পানির গার্গল
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার কুলকুচি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
গ্লিসারিন বা নারকেল তেল
ঘা বা ফাটা অংশে লাগালে আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং জ্বালা অনুভূতি কমে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
ঘা দুই সপ্তাহের বেশি থাকে, আকারে বড় হয়, তীব্র ব্যথা হয় ও জ্বর বা অতিরিক্ত অস্বস্তি দেখা দেয়।
এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ভিওডি বাংলা/জা







