• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বাঁশখালীতে ২২ বছরেও ১১হিন্দুকে পুড়িয়ে হত্যার বিচার মেলেনি

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি    ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ পি.এম.
বাঁশখালীতে ১১ নারীপুরুষকে পুড়িয়ে হত্যার স্মৃতিসৌধ ছবি: ভিওডি বাংলা

সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা বাঁশখালীর সাধনপুর শীলপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ১১হিন্দুকে আগুনে পুড়ে নৃশংস হত্যার ২২ বছরেও বিচার হয়নি। ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর ইতিহাসের বর্বরতম এই হত্যাকান্ডে চারদিনের নবজাতকসহ ১১ জন নারীপুরুষকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। দীর্ঘ ২২ বছরেও ওই ঘটনার বিচার না হওয়ায় ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত নিহতদের স্বজনরা। সনাতনী সম্প্রদায়ের অতি আপন দাবীদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার খুনীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বের হয়নি ঘটনার আসল রহস্য, বাঁশখালীর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর সনাতনী সম্প্রদায় প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠলেও এখন অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। 

এঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বাদী বিমল কান্তি শীল ও তার ছোট ভাই শিক্ষক নির্মল শীল আক্ষেপ করে বললেন, দেখতে দেখতে ২২টা বছর পার হয়ে গেল,আর কতদিন লাগবে ১১ স্বজন হারানোর বিচার পেতে ? 

জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নির্মম খুনের শিকার হয়েছিল তেজেন্দ্র লাল শীল(৭০), তার স্ত্রী বকুল বালা শীল (৬০), ছেলে অনিল কান্তি শীল (৪২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি রাণী শীল (৩০), তাদের মেয়ে মুনিয়া শীল (৭) ও রুমি শীল (১১), চারদিন বয়সী শিশু কার্তিক শীল, তেজেন্দ্র শীলের ছোট ভাই শচীন্দ্র শীলের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭),অ্যানি শীল (১৫) এবং বান্দরবান থেকে বেড়াতে আসা তেজেন্দ্র শীলের বেয়াই দেবেন্দ্র শীল (৭৫)। 

নিহত তেজেন্দ্র শীলের পুত্র বিমল কান্তি শীল বাদী হয়ে মামলা হলেও পরবর্তীতে সেটা সরকার বাদি মামলায় পরিনত হয়। মামলায় ৩৭ জন আসামির মধ্যে ২৪ জন জেলহাজতে গেলেও তারা বর্তমানে হাইর্কোট থেকে জামিনে এসে মুক্ত জীবন যাপন করছেন। পলাতক আসামিরাও নানা ভাবে জামিন নিয়ে বর্তমানে মুক্ত জীবনে রয়েছে বলেও নিহতদের পরিবার সুত্র জানায় । 

ওই মামলায় সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৫৭ জনকে স্বাক্ষী রাখা হলেও দীর্ঘ ২২ বছরে মাত্র ২৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়েছে। বাকীদের নেওয়া হয়নি নানা অজুহাতে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ১১ হত্যাকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে
বিমল কান্তি সুশীল, সুনীল কান্তি শীল ও নির্মল কান্তি শীল নামের ৩জনকে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ৪৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলে তিন ভাই পৃথক তিনটি বাড়ি নির্মান করেন। তিন‌টি বা‌ড়ির নির্মাণ কাজ শে‌ষ হওয়ায় কিছু‌দিন পূর্বে তারা আনুষ্টা‌নিক ভা‌বে ঘরে প্রবেশ ক‌রে‌ন বলে জানা গেছে। 

মামলার ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরৗ রাজ্জাক বলেন, গত অক্টোবর মাসেও মামলাটির শুনানীর তারিখ ছিল। স্বাক্ষীদের হাজির করার প্রসেস চলছে,আশা রাখি স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে একটি দৃষ্টান্ত মুলক রায় হবে। 

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

 


  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাবনা-৩ এ বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল
পাবনা-৩ এ বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল
মদনপুরে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিক
মদনপুরে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬ শ্রমিক
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন পাবে সব শ্রেণির মানুষ: শামা
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে উন্নয়ন পাবে সব শ্রেণির মানুষ: শামা