• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ক্ষমতায় গেলে ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক    ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৭ পি.এম.
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি-সংগৃহীত

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে মহানবীর আদর্শ অনুসরণে ‘ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারেক রহমান। রোববার বিকালে জাতীয় ইমাম খতিব সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, আইয়ামে জাহেলিয়ার সময়ে আমাদের মহানবী (সা.) কে যারা অপছন্দ করতো তারাও মহানবীকে ন্যায়পরায়ণ হিসেবে মানতো এবং বিশ্বাস করত। মহানবীর ন্যায় পরায়ণতা নিয়ে মুসলমান-অমুসলমান বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কারো মধ্যেই কোন সংশয় ছিল না। মহানবীর সেই ন্যায় পরায়ণতার আদর্শ সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূল মন্ত্র হবে ইনশাআল্লাহ ন্যায় পরায়নতা। মহানবীর ন্যায় পরায়নতার আদর্শ উজ্জীবিত একটি ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে বিএনপি দেশের সকল সম্মান্বিত ইমাম-খতিব- মুয়াজ্জিন-আলেম- ওলামা-পীর-মাশায়েকদের দোয়া এবং সমর্থন চায়।'

তারেক রহমান বলেন, ‘পরিবেশে আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আমার মায়ের জন্য দোয়া চাই, আমার দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং সর্বোপরি দেশবাসীর জন্য দোয়া চাই। দেশ এবং জনগণের কল্যাণে আল্লাহ যেন আমাকে এবং আমাদের দলকে প্রতিটি সৎকর্ম বাস্তবায়নের সুযোগ দেন। এজন্য আপনাদের দোয়া, সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই।'

আগারগাঁও বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় ইমাম খতিব সম্মেলন-২০২৪ সম্মেলন হয়। এই সম্মেলন কমিটির সদস্য সচিব মুফতি আজহারুল ইসলাম ইমাম খতিবদের ৭ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

‘ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনদের দাবি অগ্রাধিকার দেয়া হবে’

তারেক রহমান বলেন, ‘আপনাদের উপস্থাপিত দাবির বেশ কয়েকটি অগ্রধিকার ভিত্তিতে পূরণ করার সব রকমের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি। আপনারা ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনদের জন্য সার্ভিস রুল প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। আপনাদের এই দাবিটি অত্যন্ত যৌক্তিক। অনেক মসজিদে মসজিদ কমিটির ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপরে ইমাম মুয়াজ্জিন চাকরি নির্ভর করে…আমি মনে করি এটি হওয়া উচিত নয়, এটি হতে পারে না। এটিকে আমি ইমাম মুয়াজ্জিনদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ বলে মনে করি। ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে আপনাদের সার্ভিস রুল প্রণয়নের ব্যাপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। উপস্থাপিত অন্যান্য দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগও বিএনপি সরকার ইনশাল্লাহ গ্রহণ করবে।’

এব্যাপারে ইমাম-খতিবদের একাধিক কমিটি করে প্রতিটি দাবির সুনির্দিষ্ট সুপারিশ বিএনপিকে প্রদানের আহ্বানও জানান তিনি।

‘বিএনপির দর্শন’

তারেক রহমান বলেন, ‘ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে বিএনপি এমন একটি কল্যাণমূলক সমাজ, সরকার এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে যে রাষ্ট্র সমাজে মুসলমানগণ নিঃসংকোচে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন, নির্ভয়ে নিরাপদে এবাদত বন্দেগী করতে পারবেন। একইভাবে অন্য ধর্মের মানুষেরাও নিরাপদে নিশ্চিন্তে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হবে। বিএনপি কখনোই ইসলামের মূলনীতি কিংবা মৌলিক বিশ্বাসের সঙ্গে আপোষ করেনি, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও করবে না।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের দল যারা স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে নিজেদের ইচ্ছেমতন সংবিধান রচনা করেছিল, সেই সংবিধানে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন তখন ঘটেনি। পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনা দায়িত্ব পাবার পর সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপরে আস্থা এবং বিশ্বাস অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বর্তমানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপরে আস্থা এবং বিশ্বাস’ কথাটি এভাবে রাখা হয়নি। কেন এভাবে রাখা হয়নি? এই প্রশ্নটি আজ আমি আপনাদের সামনে দেখে গেলাম।’

বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই ইসলাম এবং মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী যেকোন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার। পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচার ইসলাম, মুসলমান এবং ইসলামী সংস্কৃতিকে রাষ্ট্র এবং সমাজে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছিল। আপনাদের এখানে যারা আজকে উপস্থিত আছেন আপনাদের অনেকেরই নিশ্চয়ই মনে আছে যে, ২০২৪ সালে পবিত্র রমজান মাসে হঠাৎ করে মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।’

‘এটি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল বাংলাদেশের ইসলাম বিরোধী, ইসলামের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। সেই সময় বিএনপি অপতৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্তরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উপরে হানাদার বাহিনীর মতন ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছিল। গণহত্যার প্রতিবাদে এবং হেফাজতে ইসলামের সমর্থনে বিএনপি সারাদেশে দুইদিন হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল তখন।’

‘ইমাম-খতিবদের বাইরে রেখে টেকসই উন্নয়ন হবে না’
 
তারেক রহমান বলেন, ‘যেকোনো পেশা  কিংবা চাকুরি ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বিবেচনা করে কাওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরে হাদিস অর্থাৎ তাকমিল সনদকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের আমলেই নেওয়া হয়েছিল। দেশে বর্তমানে কওমি ও আলিয়া সরকারি বেসরকারি বা নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত সব মিলিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের ৫০  হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।’

‘দেশের সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে সব মিলিয়ে মসজিদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ বা তারও কিছু বেশি হতে পারে। এই মসজিদগুলোতে কম বেশি প্রায় ১৭ লক্ষ ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিন ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করছেন। লক্ষ লক্ষ মসজিদ মাদ্রাসায় ইমাম মুয়াজ্জিন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় অগ্রগতিমূলক কার্যক্রমের বাইরে রেখে দেশ কখনোই টেকশই উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা থেকে বিএনপি আগামী দিনের কর্মসূচিতে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’

‘ইমাম-খতিবরা সমাজ সংস্কারক’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে সারাদেশে ইমাম-খতিব-মোয়াজ্জিনগণ প্রত্যেকেই সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আপনারা মানুষের নৈতিক এবং আত্মিক শুদ্ধির জন্য নিজেদের সময় ব্যয় করেছেন বা করছেন। ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত একটি নৈতিক সমাজ গঠনের জন্য গঠনের জন্য এটি আপনাদের একটি প্রশংসনীয় অবদান।’

‘বিএনপি মনে করে সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় বা ভূমিকা পালনকারী ইমাম-খতিব- মুয়াজ্জিনগণ যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাদেরকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এমন বাস্তবতায় ইমাম-খতিব- মুয়াজ্জিনদের মধ্যে যারা আতিক আলাপনের রয়েছেন তাদেরকে প্রতিমাসে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী ভাতা দেবার ব্যাপারে বিএনপির একটি পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মানে ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে ইমাম- মুয়াজ্জিনদেরকে সম্মানী দেওয়ার পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে ইনশাল্লাহ আমরা বাস্তবায়ন করব।”

‘একই সঙ্গে ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে আর্থিকভাবে আরো স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করে আরো বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ, দুযোর্গ প্রতিরোধে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্পৃক্ত করার  বিভিন্ন চিন্তাভাবনা বিএনপির রয়েছে বলে জানান তারেক রহমান।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশকের তাবেদারী শাসন-শাসনের মাধ্যমে আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে ঈমান, ইসলাম এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে আমাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। সুতরাং দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা সুসংহত করার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।’

‘আপনারা সমাজেরও ইমাম’

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা আমাদের ইমাম, আপনাদের আমরা সন্মান দেখাতে চাই। আপনারা সমাজের ইমাম হবেন… আপনাদের অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাব। আমরা মনে করি, বিশ্বাস করি, ইমামরা যেদিন সমাজের ইমাম হবেন সেদিন আমাদের মুক্তি হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ৯০% মানুষ আল্লাহর ওপর ঈমান রাখে। তারা কোরআন মানে, রাসুল (সা.) কে শেষ নবী মানে। তাই এদেশের আইন চলবে কোরআনের মতবাদে ইনশাআল্লাহ। এই জায়গায় যতদিন দেশ না আসবে, ততদিন মানবিক সমাজ আমরা কায়েম করতে পারব না। আল্লাহর আইন ছাড়া মনগড়া মতবাদে সমাজে শান্তি ও সন্মান আসবে না।’
‘ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে’

ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ এর আমীর মাওলানা সৈয়দ  মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে সারাদেশে ওলামা কেরামের যে মাঠ তৈরি হয়েছে তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এদেশে  নাস্তিকতা, ফ্যাসিবাদের কোনো স্থান  থাকবে না। এদেশে আলেম-ওলামাদেরর নেতৃত্ব থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে ইসলাম যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমতায় যায় তাহলে ইমাম খতিবদের দাবি পুরন মাত্র ১/২ মিনিটের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো যারা ক্ষমতায় গেছে তারা  ধোকা দিয়েছে এটা আর কেউকে করতে দেয়া হবে না।’

‘আওয়ামী লীগ ইসলাম বিরোধী রাজনীতি করেছে’

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে বিগত ১৬ বছর ইসলাম বিরোধীদের প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগ ইসলাম বিরোধী রাজনীতি করেছে, আওয়ামী লীগ ভারতের দালালি করেছে। আমরা এবার কারো দালালি নয়, নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজের পায়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলব এবং সেই বাংলাদেশ হবে ইনসাফের বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ। সেই নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের লড়া, সেই নতুন সমাজ বিনির্মাণের লড়াই জুলাই গণঅভুত্থানে যেভাবে আপনারা-আমরা কাঁধে কাধ মিলিয়ে লড়াই করছি, আমরা সামনেও কাঁধে কাঁধ মিলে লড়াই করব। আমরা আপনাদের সাথে থাকবো আপনারা জনগণের পাশে থাকবেন।’

‘কোরওআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কানুন নয়’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা যে ৭ দফা দাবি দিয়েছেন সে সম্পর্কে বলতে চাই, আমরা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যে ধারনা সকল নাগরিক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকদের অধিকার আচার-অনুষ্ঠান নিশ্চিত করার বিধান সংবিধান আছে। আমরা এটার নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন ও সুন্নাহ বিপরীতে কোন কানুন করা হবে… যদি থাকে সেটা বাতিল করা হবে। সংবিধানের মূলনীতিতে শহীদ জিয়াউর রহমান বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম’ সন্নিবেশিত করেছিলেন… এখন সেটা নেই। আমরা আগামীতে এটা সংবিধানে পুনবর্হাল করব।’

‘ইমাম-খতিবগণ অবশ্যই তার দায়িত্ব পালন করবেন এটা আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদের আহ্বায়ক বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহির বাকী নদভীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় হেফাজতে মাওলানা জোনায়েদ আল হাবিব, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাশেমী, মুফতি বশির উল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর,খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী/ মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, নেজামী ইসলাম পার্টি মুফতি মুসা বিন ইজহার, শায়খ আহমদুল্লাহ, মাওলানা মুনির হোসাইন কাশেমী, মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী,মাওলানা আবদুল্লাহ বিন আবদুর রাজ্জাক,মাওলানা গোলাম রাব্বানীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ইমাম-খতিব সাহেরা বক্তব্য রাখেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএম

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সময় গর্ব করার মতো কি ভূমিকা ছিল আপনাদের : সালাম
মুক্তিযুদ্ধের সময় গর্ব করার মতো কি ভূমিকা ছিল আপনাদের : সালাম
দেশপ্রেমিকদের  বারবার অবজ্ঞা করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার: রহমাতুল্লাহ
দেশপ্রেমিকদের বারবার অবজ্ঞা করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার: রহমাতুল্লাহ
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া