ভারতীয় সেই নাগরিক সখিনা বেগমের জামিন

পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের মামলায় ভারত থেকে পুশইন করা সেই ৬৮ বছর বয়সী ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগমকে জামিন দিয়েছেন আদালত।রোববার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন শুনানি শেষে জামিনের এই আদেশ দিয়েছেন।
সখিনা বেগম বাংলাদেশে যে বাসায় আশ্রয়ে ছিলেন, ওই পরিবারের জিম্মায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সখিনা বেগমের পক্ষে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক জামিন চেয়ে শুনানিতে বলেন,‘মামলাটি জামিনযোগ্য ধারা। সখিনা বেগম ইচ্ছে করে এ দেশে আসেননি। জোর করে তাকে এদেশে পুশইন করা হয়েছে। তার জামিনের প্রার্থনা করছি।’
শুনানি নিয়ে আদালত সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া পরিবারের সদস্য ক্লান্তি আক্তার, তার মা মোছা. জাকিয়া এবং খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন। পরে অ্যাডভোকেট রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক বলেন, ‘আশা করছি, আগামীকাল সোমবারই কারামুক্ত হবেন সখিনা বেগম।’
এদিন শুনানিকালে সখিনা বেগমকে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
সখিনা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া ক্লান্তি আক্তার বলেন, ‘যতদিন তিনি দেশে ফিরতে না পারবেন, আমাদের কাছেই থাকবেন। তিনিও দেশে ফিরতে চান। সরকারকে অনুরোধ করব, তাকে যেন দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।’
আসামের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনাকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার ভাসানটেক পুলিশ তুলে নেয়। এর আগেই তাকে নিয়ে বিবিসি বাংলায় করা একটি প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে সখিনা এবং আসামে থাকা তার পরিবার অভিযোগ করে—বিএসএফ তাকে জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।
পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। তবে মামলায় তার নাম ‘সখিনা’ লেখা হয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর কয়েক দফা জামিন আবেদন করলে তা নাকচ হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সখিনাকে ভাসানটেক থানার টিনশেড টেকপাড়া গলির মাথায় পাওয়া যায়। জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিজেকে ভারতের নাগরিক বলে দাবি করেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএম




