সরকার জনগণের জন্য কাজ করলে শিক্ষকরা রাস্তায় থাকতেন না: রিজভী

শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয় জনগণের জন্য কাজ করলে শিক্ষকরা রাস্তায় থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় যদি জনগণের কথা ভেবে কাজ করতো, তাহলে এতদিন ধরে এই শিক্ষকরা রাস্তার উপর দাড়িয়ে দাবি আদায়ে দিনের পর দিন অনশনে বসতো না।’ 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকার প্রতিশ্রুত স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সচল সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন। 

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সর্বোচ্চ দাম দিয়ে বিদ্যুৎ কিনেছিল। ড. ইউনুসের সরকার সেই চুক্তি কিন্তু বাতিল করতে পারেনি। জনগণের পরিশ্রমের টাকা এখনো তাদেরকে দিতে হচ্ছে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদেরকে ভাড়া দিতে হয়। আর শিক্ষকরা দাবি আদায়ে ফুটপাত-রাস্তায় গড়াগড়ি করছে। শিক্ষকদের জন্য সরকারের কাছ থেকে কোনো  টাকা বের হয় না, কোনো নীতিমালা তৈরী হয় না।’ 

তিনি বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা কেন জানি গরিব মানুষদের পক্ষে থাকেন না। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গরিব মানুষের জন্য হলেও, এই সরকার গরিব মানুষের দিকে তাকায় না। বরং গরিব মানুষের উপর কিভাবে স্টিমরোলার চালানো যায়, আজকে আমি সেটির নমুনা দেখলাম। কত হাজার হাজার কোটি টাকা তো লোপাট হয়ে গেছে, শতশত কোটি টাকা এখন কয়েকজনের বাড়িতে খোঁজ করলেই তো পাওয়া যায়। সরকারও তো কতদিকে কত কাজে টাকা দিচ্ছে। তাহলে শিক্ষকদের জন্য টাকা খরচ করতে অসুবিধা কোথায়।’ 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সার কারখানায় যে গ্যাস সরবরাহ হয়, সেই গ্যাস সরবরাহের উপর প্রায় ৮৩ শতাংশ ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই কর ধার্য করার কারণে সারের দাম বাড়বে। কৃষি উৎপাদন বিপন্ন হবে এবং অনেক খরচ হবে। কৃষকরা আরও বেশি বিপন্ন হয়ে পড়বে। এসরকার তো জনগণের সরকার নয়। এই সরকার তো গরিব মানুষের সরকার নয়। এসরকার এমন একটি সরকার, যে মাথার মধ্যে তেল আছে, সেই মাথার মধ্যেই তেল ঢালে। এটা হতে পারে না। এভাবে চলতে পারে না।’ 

‘অন্তর্বতীকালীন সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে। সব রাজনৈতিক দল মনে করেছে এসরকারের অধীনে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। সেই বিশ্বাস এখনো আছে ড. ইউনুসের উপরে। কিন্তু আপনার অন্যান্য উপদেষ্টারা জনগণের স্বার্থে, জনগণের চিন্তার সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন না। এটা কোনো কার্যকর সরকারের কাজ হতে পারে না।’ 

এসময় তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। এছাড়া শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ