আগে গুলশান-মগবাজারের হাজিরায় মনোনয়ন নিশ্চিত ছিল : পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “বিগত দিনে গুলশান ও মগবাজারে হাজিরা দিলে মনোনয়ন নিশ্চিত ছিল। আমরা সে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি না। আমাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জনগণের কাতারে হাজিরা দিয়েছেন। আমরা চাষাভুষা, কৃষকের সন্তান ও রিকশাচালককেও মনোনয়ন দিয়েছি। শাপলা কলিকে বিজয়ী করতে জনগণ অপেক্ষায় আছেন। দেশকে জামায়াত বা বিএনপি বানানোর সুযোগ নেই। সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার কার্যক্রমের সমাপনী দিনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই সাক্ষাৎকার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করছি। জামায়াতের মোটর শোডাউন বন্ধের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই—যদিও তারা এরই মধ্যে একাধিক শোডাউন করেছে।” ভূমিকম্প পরিস্থিতিতে সরকারের তৎপরতার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও আরও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, “ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।” কুমিল্লার দেবীদ্বারের বিএনপি প্রার্থী হাসনাত আবদুল্লাহর বংশ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বংশ পরিচয় কারও কাছে মাথানত করিনি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন একদিকে ঝুঁকে গেছে। তারা একটি বিশেষ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইছে। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ ও চাঁদাবাজির বিপক্ষে আমাদের অবস্থান। আমরা বিএনপি বা জামায়াত কাউকে ভয় পাই না—জনগণের শক্তি নিয়েই এগোতে চাই।”
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “২৪-এর গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার হলে একাত্তরের গণহত্যারও বিচার করতে হবে।”
তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ‘জনগণের এলায়েন্স’ নামে নতুন একটি জোট ঘোষণা করা হবে, যেখানে এনসিপির পাশাপাশি আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ






