• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীতে ৩ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৮ পি.এম.
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ও নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন ভাটার থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবসায়ী ও লাকসাম থানার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন রায়হান (৩২), সবুজবাগ থেকে উদ্ধার হওয়া গৃহিণী সিমি আক্তার (২০) ও গাড়ি চালক ইপু (২৫)।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত পৃথক জায়গা থেকে ৩টি মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

ভাটারা থেকে উদ্ধার হওয়া আল-আমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাগরীপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মো. তাজুল ইসলাম। বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই ব্লকের ১৮ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ছাদে চিলেকোঠার রুমে থাকতেন। 

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আসাদুজ্জামান বলেন, বসুন্ধরার ওই বাসার চিলেকোঠার রুমটিতে একাই থাকতেন আল-আমিন। সোমবার রাতে রুমের দরজা বন্ধ দেখে বাড়িটির দারোয়ান বিকল্প চাবি দিয়ে রুম খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সে। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে রাত পৌনে ১টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

এসআই আরও জানান, মৃত আল আমিন লাকসাম থানার সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার রুম থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে লিখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।

এদিকে, সবুজবাগের আহমদবাগ এলাকার ৩৩/ডি নম্বর বাড়িটির ৩য় তলায় থাকেন গৃহিণী সিমি আক্তার। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. আরিফুর রহমান উল্লেখ করেন, তার স্বামীর নাম মুরাদ হোসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। খবর পেয়ে রাত ১ টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

অপরদিকে, সবুজবাগের দক্ষিণগাঁও এলাকার ৬ নম্বর রোডের আবু সাইদের টিনশেড বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় গাড়ি চালক ইপুর লাশ। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে সবুজবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে খবর পেয়ে দক্ষিণগাঁওয়ের বাসা থেকে ইপুর মরদেটি উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. রবিউল ইসলাম। দক্ষিণগাঁওয়ের বাড়িটিতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার রাতে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী কুলসুমের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন তিনি। এরপর নিজেই রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে শীতের চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএম

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিশৃঙ্খলার জন্য গ্যাস বেলুন উড়ানোর পরিকল্পনা ছিল আ'লীগের
পরিকল্পনা ফাঁস, গ্রেপ্তার ২৫ বিশৃঙ্খলার জন্য গ্যাস বেলুন উড়ানোর পরিকল্পনা ছিল আ'লীগের
সরোয়ার হত্যার ২ আসামি গ্রেপ্তার
বিএনপির গণসংযোগে গুলি সরোয়ার হত্যার ২ আসামি গ্রেপ্তার
পুবাইল থানার ওসি ক্লোজড
আপত্তিকর মন্তব্য পুবাইল থানার ওসি ক্লোজড