খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ডিইউজে-বিএফইউজে দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন -ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি একে মহসিনসহ দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দোয়া মাহফিলে বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, এদেশের জন্য ইসলামের খেদমতে, মানবতার খেদমতে বেগম খালেদা জিয়ার কি অবদান আছে এটা আমরা সবাই জানি। এদেশের মানুষকে উনি এতোটা ভালোবাসেন যে, স্বৈরাচারী আমলে এত নির্যাতনের পরও তিনি জনগণের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন। ফখরুদ্দিন ও মঈনউদ্দিনের সময় তাকে বিদেশ চলে গেলে এত নির্যাতন সইতে হতো না, তার ছেলেকে পঙ্গু হতে হত না। কিন্তু তিনি দেশের জন্যে জনগণের জন্য বিদেশে যান নাই।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার ১৬ কোটি মানুষের কথা বিবেচনা করে সেদিন আপোষ করেননি। গত সরকারের আমলে তার উপর কি পরিমাণ নির্যাতন হয়েছে। এরপরও এক মুহূর্তের জন্য কোন আপোষ করেননি বেগম খালেদা জিয়া।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদানকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের জন্য খালেদা জিয়া এবং জিয়াউর রহমানের কি অবদান আছে, সেটা সবারই জানা। এদেশের প্রথম সংবিধান রচনার সময় খুব কৌশলে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা সেখানে অনুপস্থিত রাখা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই সংবিধানে 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম' এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্তা সংযোজন করেন এবং এরপর থেকেই সত্যিকার অর্থে ধর্মপ্রাণ মানুষরা তাদের মর্যাদা পেতে থাকে। অন্যান্য ধর্মের প্রতি উনি কিন্তু সহানুভূতিশীল ছিলেন।
খালেদা জিয়ার সময়েও ধর্মপ্রাণ মানুষরা নির্বিঘ্নে ছিলেন। তাবলীগ জামাতের ইজতেমা করার জন্য ৩০০ একর জায়গা খালেদা জিয়া দিয়েছেন। মুসলমানরা তাদের মর্যাদাগত, অন্য ধর্মের প্রতিও কখনো বিরাগভাজন হননি। একটা ধর্মীয় মর্যাদা, মুসলমানদের মর্যাদা পাওয়া - সেটা কিন্তু বিএনপি সবচেয়ে বেশি করেছে।
তিনি আরো বলেন,আপনারা জানেন শাপলা চত্বরে কিভাবে নিরীহ মানুষদেরকে হত্যা করেছে।এসব ক্ষেত্রে বেগম জিয়া সবসময় এদেশের মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন।খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোন অন্যায় অপকর্মের কোন নজির নেই। ভালো কাজ করেছেন বলেই উনার জন্য সারা বিশ্বে দোয়া করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আজকে মানুষটি অথৈ সংকটপূর্ণ অবস্থায়। আজকে গোটা বাংলাদেশ আজকে একটা শোকের মত অবস্থায়। যিনি আমাদের বাংলাদেশের এখন এক অন্যতম অভিভাবক, প্রধান অভিভাবক, তার জন্য আমরা আজকে দোয়া করব যেন আল্লাহ উনাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। আপনাদের সবার কাছে আমরা অনুরোধ করব, দোয়া করবেন। দোয়া ছাড়া উনার সামনে আর কোন পথ নেই। একমাত্র দোয়ায় উনাকে রক্ষা করতে পারবেন। আমাদের জন্য, বাংলাদেশের জন্য, মুসলিম উম্মার জন্য, বাংলাদেশের জনগণের জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য, এই মহিষী নারীর দেশপ্রেমের কথা চিন্তা করে, এই মহিষী নারীর অবদানের কথা চিন্তা করে, আজকে আপনারা সবাই খাস দিলে উনাকে দোয়া করবেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ






