প্রধান বিচারপতি
অনেক পেয়েছি, উপসংহার এমন হবে ভাবিনি

৫ আগস্টের পর সুযোগ আসে রাষ্ট্রপতি হওয়ার। তবে সবিনয়ে সে প্রস্তাব ফেরান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। অবসরের ২৫ দিন আগে একান্ত সাক্ষাতকারে অজানা এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তার দৃষ্টিতে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর জাতির অন্যতম প্রাপ্তি বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয়।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২৫ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে যখন শপথ নিয়েছেন তখন বাংলাদেশ পার করছে ইতিহাসের অন্যতম ক্রান্তিকাল। এরপর দেশের বিচার ব্যবস্থায় হয়ে গেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। সত্যিকার অর্থেই পৃথক সচিবালয়ের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে বিচার বিভাগ। তত্ত্ববধায়ক ফেরানোসহ বহু আলোচিত মামলার আইনি জট খোলা রায় দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
২৮ ডিসেম্বর ৬৮ বছরে পা রাখছেন প্রধান বিচারপতি। সংবিধান অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর তার শেষ অফিস। এর ঠিক ২৫ দিন আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিজ দপ্তরের বারান্দায় বললেন জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করেই পৃথক সচিবালয় পেলো বিচার বিভাগ। যা অনেক বড় অর্জন বলে মনে করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জুলাইয়ের বিপ্লবের ফলে যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের যে আকঙ্খা সেটির প্রতিফলন হয়েছে আলাদা বিচার বিভাগ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে। এটি করতে ২৬ বছর লেগেছে, এজন্য এটিকে বিশাল প্রাপ্তি বলবো। প্রতিটি পদে অনেক সূক্ষ্ম আলোচনা করতে হয়েছে, যাচাই করতে হয়েছে। এ আঙ্গিকে দেখলে আমার মনে হয় সচিবালয় সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা ছিল, প্রত্যাশা ছিল আমরা যদি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে যেতে পারি সেটির প্রতিফলট ঘটবে।’
৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহ এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের হাতে সুযোগ এসেছিল রাষ্ট্রপতি হওয়ার। কিন্তু সেই প্রস্তাব সবিনয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তীতে যারা আসবেন আশাকরি তারা তেমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন না। আমার মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ রয়েছে, দুই তিনটা সুযোগ হবে। সামনের ৫-১০ বছর এ সচিবালয় বাস্তবায়নের কী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ, সেটির আরেকটি রোডম্যাপ দেশবাসীকে জানাবো। আমার যারা উত্তরসুরি হবে, তাদেরকে দিয়ে যেতে পারবো।’
কখনও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হবেন এমন স্বপ্ন কি দেখেছিলেন? এ প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এভাবে ঠিক বাস্তব আকারে চিন্তা করিনি। তবে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হবো, এটি পারিবারিকভাবে মজ্জাগত হয়ে গেছে। উপসংহার এভাবে টানা হবে, তা ভাবিনি। অনেক পেয়েছি, সেটি পেতে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানান গণমাধ্যম কর্মীদের।
ভিওডি বাংলা/ এমএম





