সারিয়াকান্দিতে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া হার্ড পয়েন্ট এলাকায় চলছে মধু সংগ্রহের ব্যস্ততা। পঞ্চগড়ের একটি বৃহৎ মৌখামার থেকে এখানে আনা হয়েছে মোট ১০০টি মৌবক্সের। ইতোমধ্যেই এসব বক্সে মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, এ অঞ্চলে শীতের মৌসুমে কুমড়া, সরিষা ও কালোজিরাসহ বিভিন্ন ফসলের ফুল ফোটে। এসব ফুলের পরাগায়ণে মৌমাছির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৌবক্স স্থাপনের ফলে এই এলাকায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন, কারণ মৌমাছিরা ফুলে পরাগায়ণ ঘটিয়ে ফসল বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মৌচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি মৌবক্স থেকে পর্যায়ক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে। তারা জানান, পাহাড়ি ও সমতল এলাকার পরাগায়ণ উপযোগী ফুল এ সময় বেশি থাকায় মধুর মানও হয় উন্নত ও সুগন্ধি। মৌচাষিরা নিরাপদ পরিবেশে বক্সগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করছেন এবং নিয়মিত মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করছেন।
স্থানীয় কৃষকরাও জানান, মৌবক্স আসার পর তাদের জমিতে ফসলের ফলন আগের তুলনায় আরও ভালো হচ্ছে। বিশেষ করে সরিষা ও কুমড়ার ফুলে মৌমাছির উপস্থিতি বেশি থাকায় পরাগায়ণ সহজ হচ্ছে, ফলে ফলন ও গুণগত মান—উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মৌচাষিরা আশা করছেন, চলতি মৌসুমে সারিয়াকান্দি অঞ্চল থেকে ভালো মানের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এতে মৌচাষি ও কৃষক উভয়েরই অর্থনৈতিক সাফল্য আসবে বলে তারা মনে করেন।
সারিয়াকান্দির বিভিন্ন এলাকায় একইভাবে মৌচাষ বিস্তৃত হলে কৃষির উৎপাদন আরও বাড়বে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







