গাজায় ৫৭ হাজার নারীপ্রধান পরিবার মানবিক সংকটে: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ৫৭ হাজারের বেশি পরিবার এখন নারীদের নেতৃত্বে চলছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এসব নারীর বেশিরভাগই জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্র, খাদ্য সংকট, রোগব্যাধি ও নিরাপত্তাহীনতার চরম চাপের মুখে পড়েছেন।
ইসরায়েলি আক্রমণের কারণে গাজার বহু পরিবার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার পুরুষ নিহত হয়েছেন বা আহত হয়ে কাজ করার সক্ষমতা হারিয়েছেন। ফলে নানা দুর্ভোগের মাঝেই পরিবারের দায়িত্ব এখন বহন করছেন নারীরা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)-এর প্রতিনিধি নেস্টর ওওমুহাঙ্গি জানান, তিনি গাজাজুড়ে হাসপাতাল, নারী ও মেয়েদের আশ্রয়স্থল, যুব কেন্দ্র এবং বাস্তুচ্যুতদের শিবির পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, “গাজার ৫৭ হাজারেরও বেশি পরিবার বর্তমানে নারীদের উপর নির্ভরশীল। তাদের অনেকেরই কোনো আয়ের উৎস নেই, ফলে সন্তানদের খাবার জোগানোও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শীত, বৃষ্টি ও বন্যা দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”
খাবার ও পানির জন্য পরিবারগুলোকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। নেস্টর বলেন, “মানুষ এখন আর ঘরবাড়ি বা শিক্ষা চায় না—তারা একটি তাঁবু, ছোট একটি হিটার কিংবা একটি আলো পেলেই খুশি। তাদের প্রত্যাশা ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের মতোই ভেঙে গেছে।”
গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তার ভাষায়, “পুরো গাজায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আংশিকভাবে চালু আছে। সেখানে কর্মীর ঘাটতি, অতিরিক্ত চাপ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে।”
ভিওডি বাংলা/জা







