যশোরে যৌথবাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতার মৃত্যু

যশোরের কেশবপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ আটক হওয়া স্থানীয় যুবদল নেতা উজ্জল বিশ্বাস (৩৯) কারা হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার হাজতী নম্বর ছিল ২৮২৪।
বৃহস্পতিবার রাতে (০৫ ডিসেম্বর) কেশবপুর উপজেলার আলতাপোলের নাজির বিশ্বাসের ছেলে এবং স্থানীয় যুবদল নেতা উজ্জল বিশ্বাসকে যৌথবাহিনীর একটি অভিযানে আটক করা হয়। একই অভিযানে জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, আলম ও নতুন মূলগ্রামের রাসেলকেও আটক করা হয়।
অভিযান চলাকালে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ধারালো অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়। বিশেষ করে, উজ্জল বিশ্বাসের কাছ থেকে একটি রামদা, তিনটি হাসুয়া ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত নয়টার দিকে উজ্জল বিশ্বাসকে কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। নথিপত্র অনুযায়ী, সে সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন এবং তার নথিতে উল্লেখ ছিল যে তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন।
"রাত নয়টার দিকে উজ্জলকে কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। সে সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন। তার নথিতে উল্লেখ ছিল, তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।"
জেলার আরও জানান, রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৫ মিনিট চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, উজ্জল বিশ্বাসের শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপা আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







