গৌরীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নারীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীদের হামলায় নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ ডিসেম্বর বুধবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে ৯নং ভাংনামারী ইউনিয়নের দূর্বারচরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—পপি আক্তার (৩৭), তার স্বামী কাইয়ুম (৪২), মেয়ে পরিবা জাহান সুইটি (২৭) ও ছেলে সিয়াম (১৩)।
আহত পপি আক্তার ৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে গৌরীপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী বাদল মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন তিনি নিজ বাড়িতে গোয়ালঘর নির্মাণের কাজ চলাকালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দা, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বাদল মিয়াসহ অন্তত ৯ জন তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কাজ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বাধা দেয়ায় শাওন মিয়া সুইটির মাথায় দা দিয়ে কোপ মারলে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। বাবুল মিয়ার আঘাতে পপির বাম হাতের হাড় ফেটে যায়। কাইয়ুমকে হত্যার উদ্দেশ্যে দা দিয়ে মাথায় কুপ মারায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সিয়ামকেও লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত করা হয়। পরে সবাইকে এলোপাতারি মারধর করা হয়।
এছাড়া অভিযুক্ত শিরিন সুলতানা, রবিলা খাতুন ও আরও দুইজন ঘরে ঢুকে একটি স্মার্টফোন ও গাছ বিক্রির ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। তাদের প্রাণনাশের হুমকিও দেয়া হয়।
আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় থানায় পূর্বেও একটি জিডি ছিল বলেও জানান বাদী পপি আক্তার।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, “এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ







