২০ দল নিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ

আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি)–কে কেন্দ্র করে ২০ দলীয় নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) আত্মপ্রকাশ করেছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলন্স পার্টি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জোটের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। নতুন জোটের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুখপাত্র জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সমন্বয়ক জনতা পার্টি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মিলন।
জাতীয় পার্টি (একাংশ) ও জেপি ছাড়াও জোটে রয়েছে—জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।
লিখিত বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশের ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর’, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ২৪ জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে এই জোট গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মধ্যপন্থার উদার গণতন্ত্র, ইসলামি মূল্যবোধ, সর্বধর্ম সম্প্রীতি, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং সুশাসনের দাবিকে সামনে রেখে জোট সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, প্রতিটি দল নিজস্ব আদর্শ বজায় রেখে যৌথ নীতিমালা ও কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে আসন্ন নির্বাচনসহ রাজনীতিতে অংশ নেবে। নতুন জোটের নাম হবে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)।
সংবাদ সম্মেলনে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো—
- ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
- আগামী দুই মাসে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারে পরিণত করা।
- সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
- জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা।
- আইনের শাসন ও উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিতে জনগণের সম্মতিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
- আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত নিয়ন্ত্রণ এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা।
- নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া।
- দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







