এ অবস্থাকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলা যায় না : গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিকে কোনোভাবেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, তথ্যের ঘাটতি এবং অস্পষ্টতা দূর করতেই তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, তারা ইসির কাছে প্রমাণসহ তুলে ধরেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করছে না। তিনি বলেন, “এই অবস্থায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তফসিল ঘোষণার পর কমিশনের এখতিয়ার আরও বাড়বে; তাই প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে।”
আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, সভা-সমাবেশে হামলা, নারী ভোটারের ওপর হামলা—এসব ঘটনা উদ্বেগজনক। তফসিলের পর নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসি কী ব্যবস্থা নিয়েছে—এসব বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছেন।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন থানায় লুট হওয়া অস্ত্র কতটা উদ্ধার হয়েছে—সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বিদেশে অবস্থানরত ভোটারদের নিবন্ধন সহজ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তার দাবি, এনআইডি বা পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজের জটিলতার কারণে প্রবাসীরা নিবন্ধনে সমস্যা করছেন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের পূর্বঘোষিত সময়সীমা সামনে রেখে তারা সুনির্দিষ্ট তারিখ জানতে চেয়েছেন বলেও জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন, “ইসি আমাদের জানিয়েছে—চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা তাদের কথার ওপর আস্থা রাখতে চাই।”
ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ ভোটের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ব্যয়বহুল হওয়ার যুক্তি দিয়ে ইসি এটি না করলেও, রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে বিপুল ব্যয়ের তুলনায় এ ব্যয় অগ্রাধিকারযোগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি ব্যাংক থেকে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনো দলের নিজস্ব ব্যাংক নেই। ইসি জানিয়েছে—যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আছে, সেখান থেকে কেউ নির্বাচন কর্মকর্তার দায়িত্ব পাবেন না।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







