ডিফেন্সে আস্থা ফিরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের জন্য ডিফেন্সসহ সব সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে।
মঙ্গলবার ( ৯ ডিসেম্বর ) রাতে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন
জিয়া পরিবারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে যোগ্য অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং দুর্নীতি কমাতে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ব্যবস্থা সার্বজনীন করা হবে।
তারেক রহমান বলেন,আম্মা অসুস্থ হওয়ার আগেই সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি সেখানে গিয়ে প্রমাণ করেছেন—ডিফেন্স সদস্যদের সঙ্গে জিয়া পরিবারের সম্পর্ক কত গভীর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,স্বৈরাচার শাসকরা ডিফেন্স সদস্যদের মধ্যে জিয়া পরিবার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে দূরত্ব তৈরি করতে চেয়েছিল। বাহিনীগুলোকে রাজনীতিকরণ করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনলে মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে না, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনও সম্ভব হবে না। দেশের নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছে—ডিফেন্সসহ সব সেক্টরে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছে।
তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে কোনো মূল্যে। জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিফেন্সের যোগ্য অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের খুঁজে বের করে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
তিনি জানান,প্রথমে ৫০ লাখ নারীকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, পরে ধীরে ধীরে সবাইকে আওতায় আনা হবে। দুর্নীতি কমাতে এই কার্ড ব্যবস্থাকে জেনারেলাইজ করা হবে—এমনকি প্রেসিডেন্টের স্ত্রীরাও কার্ড পাবেন।
এক পর্যায়ে সাবেক এএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) ফাতেমী রুমির সঙ্গে পূর্বের একটি ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
তারেক রহমান আশ্বাস দিয়ে বলেন—বিএনপি সরকার গঠন করলে সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।
সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবরসহ দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন আরও বেশ কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা—মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) এস এম ফয়সাল, কর্নেল (অব.) জগলুল আহসান, কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, কর্নেল (অব.) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, মেজর (অব.) শাহেদ, মেজর (অব.) হাসান, মেজর (অব.) সিদ্দিক, মেজর (অব.) রেজাউল করিম ও স্কোয়াড্রন লিডার আকতার।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







