শেষ মুহূর্তে লিভারপুল; দুর্দান্ত কামব্যাক বার্সা-বায়ার্নের

মঙ্গলবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। শেষ মুহূর্তের মোড় বদল, দাপুটে পারফরম্যান্স আর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে প্রাণ ফিরে পায় পরের পর্বে ওঠার লড়াই। শীর্ষ দলগুলো নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে, আর চাপের মুখে থাকা দলগুলোও দেখিয়েছে লড়াইয়ের তীব্রতা।
সান সিরোতে লিভারপুলের শেষ মুহূর্তের জয় থেকে শুরু করে বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনার দুর্দান্ত কামব্যাক—পুরো রাতটাই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা।
ইন্টার ০–১ লিভারপুল
মোহাম্মদ সালাহকে ছাড়াই মিলানে ধৈর্য্যের ফুটবল খেলেছে লিভারপুল। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোল করেন ডমিনিক সোবসলাই। সেই গোলেই শেষ হয় ইন্টারের দীর্ঘদিন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকার রেকর্ড।

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ স্পোর্তিং সিপি
শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় বায়ার্ন। ৫৪ মিনিটে জোশুয়া কিমিচের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পোর্তিং। এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি স্পোর্তিং। ৬৫ মিনিটে সার্জ জনাব্রি কাছ থেকে শটে সমতা ফেরান। ৬৯ মিনিটে মাত্র ১৭ বছরের লেনার্ট কার্ল বায়ার্নকে এগিয়ে নেন। ৭৭ মিনিটে জনাথন টাহের গোল নিশ্চিত করে বায়ার্নের দাপুটে জয়।

বার্সেলোনা ২–১ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট
ক্যাম্প ন্যুতে পিছিয়ে পড়ে দারুণ প্রত্যাবর্তনে জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচের নায়ক ছিলেন জুলস কুন্দে।
২১ মিনিটে আনসগার কনাউফের গোলে এগিয়ে যায় ফ্রাঙ্কফুর্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫০ ও ৫৩ মিনিটে দুই দুর্দান্ত হেডে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন কুন্দে।
এই জয়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা ৬ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট দাঁড় করিয়েছে ১০। বাকি দুই ম্যাচে প্রয়োজনীয় পয়েন্ট তুলতে পারলে তারা শীর্ষ আটে জায়গা করে নিয়ে সরাসরি শেষ ষোলোতে উঠতে পারবে—এড়াতে পারবে প্লে-অফও।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







