করদাতাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, জুলুম নয়: এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রাজস্ব আহরণ মধু সংগ্রহের মতো; তাই করদাতাকে টিকিয়ে রাখতে হবে, কোনোভাবেই হয়রানি বা জুলুম করা যাবে না। সোনার ডিম পাড়া হাঁসের মতো করদাতাকে চাপ দিয়ে মেরে ফেললে রাজস্ব বাড়বে না।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২০১২ সালে এসে ভ্যাট প্রবৃদ্ধিতে ধাক্কা লাগে। নতুন আইন ১৯৯১ সালের আইনের চেয়ে সহজ হওয়ার কথা থাকলেও বরং জটিল হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেন না; তারা জনগণের কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করেন-এই মৌলিক প্রিন্সিপালটি ঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি জানান, আয়করে বড় ধরনের লিকেজ রয়েছে। রাজস্বের সবচেয়ে বড় অংশ আসা উচিত আয়কর থেকে, এরপর ভ্যাট এবং সর্বশেষ কাস্টমস থেকে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত হারে আদায় বাড়ছে না।
ডিজিটালাইজেশনকে রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৩২ বছর পরও আমরা পুরোপুরি ডিজিটাল সিস্টেমে যেতে পারিনি। ব্যয় বেশি হলে, আয় কম হলে-ঋণ বাড়বেই; এটি পরিবার থেকে দেশ সব জায়গায় সত্য।”
আবদুর রহমান আরও বলেন, “টার্নওভার সীমা ৩ কোটি থেকে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে, তখন ৫০ লাখ রেজিস্ট্রেশন হওয়ার কথা ছিল-কিন্তু তা হয়নি। অনেক ব্যবসায়ী তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করেন না। কর প্রশাসনের সহায়তা না পেয়ে কেউ কেউ বিদেশে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন। যারা কর দেন, তাদের ‘নার্সিং’ করতে না পারলে বিনিয়োগ বাড়বে না।”
“সময় মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব”-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ।
ভিওডি বাংলা/জা







