‘মাফিয়া আউট’ স্লোগানে উত্তাল বুলগেরিয়ার রাজপথ

বুলগেরিয়ায় সংখ্যালঘু সরকারের বিরুদ্ধে আবারও রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। দুর্নীতি দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানী সোফিয়া ও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। খবর—রয়টার্স।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে দরিদ্র সদস্য দেশ বুলগেরিয়া ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি ইউরো গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক এমন সময় ব্যাপক বিক্ষোভের ঢেউ দেখা দিয়েছে। সোফিয়ার কেন্দ্রীয় সংসদ ভবনে লেজার আলো ফেলে বিক্ষোভকারীরা লিখেন—‘পদত্যাগ’, ‘মাফিয়া আউট’, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন চাই’।
৬৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী ডোব্রি লাকভ বলেন, “মানুষের শক্তিই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। সবচেয়ে আগে বিচারব্যবস্থার সংস্কার দরকার। আদালত ঠিক হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হবে। চলতি সরকারের বিরুদ্ধে এটি ষষ্ঠ অনাস্থা প্রস্তাব। সরকারটি ক্ষমতায় আসে গত ১৫ জানুয়ারি।
গত সপ্তাহে বড় ধরনের বিক্ষোভের মুখে সরকার ২০২৬ সালের বাজেট পরিকল্পনা প্রত্যাহার করে। ইউরোতে প্রণীত প্রথম বাজেটটিতে সামাজিক নিরাপত্তা অবদান ও লভ্যাংশের ওপর কর বাড়ানোর প্রস্তাব ছিল, যার প্রতিবাদে বিরোধী দলসহ বিভিন্ন সংগঠন রাস্তায় নামে। বাজেট প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি।
গত চার বছরে বুলগেরিয়ায় সাতটি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে—সর্বশেষটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে। আইটি পেশাজীবী অ্যাঞ্জেলিন বাহচেভানভ বলেন, “বুলগেরিয়ায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসার সময় হয়েছে। আমাদের ওলিগার্কি ও মাফিয়াদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।”
সরকারি বার্তা সংস্থা বিটিএ জানায়, ক্ষমতাসীন জিইআরবি দলের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বয়কো বোরিসভ বলেছেন, ইউরোজোনে যোগদানের আগে সরকার পদত্যাগ করবে না—এ ব্যাপারে জোটসঙ্গীরা একমত।
তবে সংস্কারপন্থি বিরোধী দল উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ–এর নেতা আসেন ভাসিলেভের দাবি—সরকার পদত্যাগ করলেও বুলগেরিয়া ইউরোজোনে প্রবেশ করবে।
ভিওডি বাংলা/ আ







