কুমারখালী উপজেলায়
অযত্ন অবহেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ

মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভ গুলো অবহেলা আর অযত্নেই পড়ে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজর দারি । কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলায় শহীদদের স্মরণে রয়েছে চারটি স্মৃতি স্তম্ভ ও চারটি জাদুঘর। দ্রুতই এসব সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা গেলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শহীদদের আত্মত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মের মধ্যে অজানায় থেকে যাবে। এই নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ থাকলেও নেই কোন প্রতিকার। সারাবছর অযত্নে অবহেলায় নোংরা পরিবেশ স্মৃতিস্তম্ভ,সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের ।
রাত বাড়লে এসব জাইগায় বাড়ে মাদকসেবিদের আড্ডা ও আনাগোনা। উপজেলা প্রশাসন বলছে দ্রুতই সংস্কারে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভও জাদুঘর। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্মৃতিস্তম্ভের বেদীর চারপাশে আবর্জনা, পলিথিন, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট পশুপাখির মলমূত্র বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। চুরি হয়ে গেছে যন্ত্রাংশ। রাতে আলো ও নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপজেলার স্পব গুলো স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আকমল হোসেন বলেন, দেশে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনের কোন অস্তিত্ব থাকবে কি।
প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভে যাওয়া হতো এবার সেই সুযোগ নেই। উপজেলা প্রশাসন থেকে তেমন কোন নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে না। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ গুলো। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শহীদদের আত্নত্যাগের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে এগুলোর সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
ঘাস খাল গ্ৰামের কৃষ্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই অঞ্চলে একটি মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতি স্তম্ভ রয়েছে। এখানে জঙ্গলে ভরে গেছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সবকিছু চুরি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর এখানে লোকজন আসতো এবছর কাউকেই দেখা যায়নি। এগুলো সংস্কার করা উচিত এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
কুমারখালী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, ফারজানা আক্তার বলেন, কুমারখালী উপজেলায় প্রায় ৭ টি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ রয়েছে। নিজেদের ম্যানেজমেন্টের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারি নাই। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
ভিওডি বাংলা/ মোশাররফ হোসেন/ আরিফ






