রিজভীকে ক্ষমা চাইতে বললেন সাদিক কায়েম

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো একটি এআই নির্মিত ছবির বিষয়ে মুখ খুললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি সাদিক কায়েম। তাকে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালানোয় এবং সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ওই ছবির সঙ্গে সাদিক কায়েমের সম্পৃক্ততা নিয়ে অভিযোগ তোলায় বিএনপি এবং রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাদিক কায়েম লেখেন, ‘আওয়ামী প্রোপাগাণ্ডা সেল কর্তৃক প্রচারিত এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী শরীফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীর সাথে আমাকে জড়িয়ে যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা বিএনপির মতো সংগঠনের সিনিয়র নেতার কাছ থেকে কোনোভাবে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীল আচরণ নয়।’
‘যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার আশ্বাস নিয়ে জনতার কাছে যাচ্ছেন, তারা যখন যেকোনো সংকটে সত্য জানার চেষ্টা না করে আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে ফ্যাক্ট হিসেবে গ্রহণ করেন, তখন আগামীর দেশ বিনির্মাণে তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি।’
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্তের আগেই মির্জা আব্বাসের নাম বলে দিলেন।
রিজভী বলেন, শুধু একটি প্রশ্নই করবো। ঘটনার একঘণ্টা পরই ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলেছে। এক ঘণ্টা পরই ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না। কই তাদের ওপর তো কোনও ধরনের হামলা হয়নি।
রিজভী অভিযোগ করেন, হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিল। দেখা গেছে, সে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খাচ্ছে। যারা একাত্তরে গণহত্যা ও মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের তো বিবেক বোধ বলে কিছু নেই। পুলিশের ভাষ্য হামলাকারী জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল পাঁচ আগস্টের পর মব কালচার তৈরি করেছে। এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের নায়ক তারা, এখন যা প্রকাশ হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এ ঘৃণ্য হামলার বিচার চাই।
ভিওডি বাংলা/ এমএম



