• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

টিআইবি

আমলাতান্ত্রিক দখলদারিত্বে জিম্মি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ

ভিওডি বাংলা ডেস্ক    ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ পি.এম.
ছবি: সংগৃহীত

অনতিবিলম্বে নতুন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ জারি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা ব্যক্ত করে টিআইবি জানায়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫ এ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মৌলিক পরিবর্তন ঘটিয়ে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া আমলাতন্ত্রের করায়ত্ত করা হয়েছে। এর ফলে সরকারি প্রভাবের বাইরে থেকে কমিশন গঠনের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়েছে। এতে টিআইবি গভীর উদ্বিগ্ন ও হতাশ।

টিআইবি জানায়, বহুল প্রত্যাশিত সংস্কার-প্রক্রিয়াকে কীভাবে আমলাতান্ত্রিক অনমনীয়তা, এমনকি অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে জিম্মি করা হচ্ছে, তার উদাহরণ হিসেবে অধ্যাদেশ প্রণয়ন-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনকে অন্ধকারে রেখে বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র এই প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ববাদী চর্চা অব্যাহত রাখতে এমনটা করা হয়েছে। যা সংস্কারবিরোধী আমলাতন্ত্রের স্বার্থান্বেষী মহলের কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের বিব্রতকর দৃষ্টান্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৯ নভেম্বর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশের পর টিআইবিসহ সব অংশীজন এতে কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও আশান্বিত হয়েছিল যে, আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি দশা কাটিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জনপ্রত‍্যাশা ও আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু ঠিক একমাসের মধ্যে ৮ ডিসেম্বর যে বাছাই কমিটি এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের মূল ভিত্তি হতে পারত, সেই কমিটিকেই সরকারি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। বাছাই কমিটিতে এই পরিবর্তন বস্তুত ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মানবাধিকার কমিশনসহ বাংলাদেশের অন‍্য সব কমিশনের অকার্যকরতার পেছনে যেভাবে সরকারি প্রভাব দীর্ঘকাল ধরে ভূমিকা রেখেছে, সেই একই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ষড়যন্ত্রের একটি দৃষ্টান্তমাত্র। কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

হতাশা ব্যক্ত করে বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই সংশোধনের মাধ্যমে নিষ্ঠুর, অমানবিক বা লাঞ্ছনাকর আচরণ প্রতিহত করার লক্ষ‍্যে জাতীয় প্রতিরোধ ব‍্যবস্থা বিভাগ প্রতিষ্ঠার যে প্রশংসনীয় বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে, তার এবং সার্বিকভাবে এই আইনের ভিত্তিতে গঠিতব‍্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকরতার সব সম্ভাবনাকে ধূলিসাৎ করতে শুধুমাত্র বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের অন্তর্ভুক্তিই যথেষ্ট। এছাড়াও কমিশনের আদেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে গৃহীত পদক্ষেপ কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতার বদলে ‘অবহিত করা যাইবে’ প্রতিস্থাপন করার মতো আরও কিছু বিধান সংযোজনের ফলে অধ্যাদেশটির মাধ্যমে প্রত্যাশিত সব ইতিবাচক সম্ভাবনা পদদলিত করা হয়েছে।

তাই অনতিবিলম্বে আমলাতন্ত্রের অন্তর্ঘাতমূলক সংস্কারবিরোধী চক্রের কাছে আত্মসমর্পণের বিব্রতকর অবস্থান থেকে সরে এসে অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশটি ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

ভিওডি বাংলা/ এমএম

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কেরানীগঞ্জে জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন
কেরানীগঞ্জে জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন
হাদির হামলাকারীকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
হাদির হামলাকারীকে ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার
হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ