পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়
সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম আব্দুল-আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানরি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, '১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধা শূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেঁছে নিয়েছি, কারণ আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি। আমাদের শিক্ষার্থীদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত করতে চাই। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিত করতে চাই। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পাবনাবাসী উপকৃত হবেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ওই এলাকার পরিবেশ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা পালন করে। আমরা পাবনাবাসীকে নতুন সংস্কৃতি (ডাইমেশন) উপহার দিতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'সমঝোতা চুক্তির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা জাপানের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পাবে। তারা গবেষণা করতে পারবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করবে। আমরা কেবল সমঝোতা স্মারক করেই শেষ করব না এটা যাতে কার্যকর হয় সে ব্যবস্থাও করব। এর ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ই একাডেমিকভাবে লাভবান হবে।'
প্রফেসর ড. মাসানরি হানাওয়া বলেন, 'সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করবো। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলবো। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারিত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুইপক্ষই লাভবান হবো।'
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. শামীম আহসান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে ‘রিসার্স অপরচুনেটিস বিটুয়েন পাস্ট এন্ড ইউনিভার্সিটি অব ইয়ামানাসি, জাপান’ শীর্ষক কর্মশালায় রিসোর্সপার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মাসানরি হানাওয়া। এতে কোষধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. শামীম আহসানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন। ইনস্টিটিউশনাল অব কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল এর আয়োজন করে।
ভিওডি বাংলা/এম এস রহমান/এম







