দিল্লিতে মেসি, কড়া নিরাপত্তা ও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ

লিওনেল মেসির ভারত সফর শেষ পর্যায়ে। প্রায় তিন দিনের সফরে নয়াদিল্লি তার শেষ গন্তব্য। কলকাতার মতো বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং মেসিকে এক নজর দেখার সুযোগ নিশ্চিত করতে দিল্লি কর্তৃপক্ষ নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ও যানচলাচল ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা।
সোমবার ভারতের রাজধানীতে মেসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হবে। মূল অনুষ্ঠান হবে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে, বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সাধারণ দর্শকদের জন্য সকাল ১১টা থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশের সুযোগ থাকবে। এ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় কঠোর যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।
জিওএটি ইন্ডিয়া ট্যুরের অংশ হিসেবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে দিল্লিতে পৌঁছাবেন মেসি। এরপর শহরের একটি হোটেলে প্রায় ৫০ মিনিটের ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ সেশনে অংশ নেবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে। সেখানে ২০ মিনিটের একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পরবর্তীতে তিনি যাবেন এক সাংসদের বাসভবনে। সেখানে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মারিয়ানো আগুস্তিন কউসিনো। একই সঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বিকালে মেসি অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে পৌঁছালে তাকে দেওয়া হবে রাজকীয় সংবর্ধনা। থাকবে সঙ্গীতানুষ্ঠানও। এরপর একটি ছোট ফুটবল মাঠে আয়োজিত প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নেবেন ভারতের কয়েকজন সেলিব্রেটি।
বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ২২ জন শিশুর সঙ্গে একটি ফুটবল ক্লিনিকে অংশ নেবেন মেসি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মাঠের মাঝখানে দুই ভারতীয় ক্রিকেটার তাকে বিশেষ উপহার দেবেন। পাল্টা হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা তাদের হাতে তুলে দেবেন দুটি সই করা জার্সি।
লক্ষাধিক দর্শকের ভিড় হতে পারে—এ আশঙ্কায় অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায় একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। বৈধ পাস ছাড়া স্টেডিয়াম বা নির্ধারিত এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
দিল্লি প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসি ও দর্শকদের নিরাপত্তাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। রাজধানীতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না ঘটে, সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ







