আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে পারিনি

কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে হাদিকে গুলি করা হয়েছে। এর জন্য আসিফ নজরুল দায়ী, অধ্যাপক ইউনূস দায়ী। হাদিকে গুলি করবার যে চেষ্টা, সেটা ৮ আগস্টে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার পরিণতি। এটি কাউকে নিরাপদ রাখবে না।'
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’ শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আসিফ নজরুল পদত্যাগ করলেও 'হাসিনাহীন হাসিনা' ব্যবস্থা চলে যাবে না। মূলত একটা শক্তিশালী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শরিফ ওসমান হাদি একমাত্র টার্গেট নয়। গণ-অভ্যুত্থানে যত তরুণ অংশগ্রহণ করেছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে সেই টার্গেটদের সুনির্দিষ্ট করেছে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বাহিনী।
তিনি বলেন, ‘৮ আগস্ট যখন শপথ গ্রহণ করা হয়েছে। তখন বারবারই সাবধান করেছি যে এর ফলে যেটা ঘটবে, বাংলাদেশ চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়বে। হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা মূলত তারই প্রথম নমুনা।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ৮ আগস্টে সংবিধানের কথা বলে ‘হাসিনাহীন হাসিনাব্যবস্থা’ কায়েম রাখা হয়েছে। পুরোনো শেখ হাসিনা সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়ে বর্তমান উপদেষ্টা সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে পারিনি। সবাই ব্যবহার করে যে— অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এটা ভুল কথা। এটা একটা উপদেষ্টা সরকার। এই উপদেষ্টা সরকার সেনাবাহিনীর সমর্থনে টিকে আছে। এই সরকারের কোনো নৈতিক ভিত্তি, আইনি ভিত্তি ও রাজনৈতিক ভিত্তি নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন নয়। তারা সব সময় নির্বাহী বিভাগ ও আইন প্রণয়নে বিভাগের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে। এই গণঅভ্যুত্থানের সৈনিক যারা, তাদের উপর যদি কোনো আঘাত যদি আসে তার জন্য বিচার বিভাগ দায়ী থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে এসময় ভাববৈঠকি'র সমন্বয়ক মো. রোমেল ও সদস্য সোহেল রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ভিওডি বাংলা/ এমএম





