অং সান সু চি’র মৃত্যুর গুঞ্জন:
যা বলছে মিয়ানমার জান্তা

কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এবার একই ধরনের উদ্বেগজনক খবর ছড়িয়েছে মিয়ানমারের গৃহবন্দি নেত্রী ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অং সান সু চি’কে ঘিরে।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি এই নেত্রীর স্বাস্থ্যগত অবনতি এবং দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য না পাওয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার ছেলে কিম আরিস।
টোকিওতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আরিস বলেন, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার মায়ের সরকার উৎখাত হওয়ার পর থেকে তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর কোনো সরাসরি খবর পাননি। এই সময়ের মধ্যে কেবল হৃদ্যন্ত্র, হাড় ও মাড়ির সমস্যার বিষয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য জানা গেছে।
আরিস বলেন, “দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কেউ তাকে দেখেনি। এমনকি তার আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। আমার জানা মতে, ইতোমধ্যেই তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।”
তিনি আরও দাবি করেন, মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সু চিকে ঘিরে নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে তাকে মুক্তি বা গৃহবন্দি করে জনমত সামাল দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন আরিস।
তবে এসব দাবি সরাসরি নাকচ করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) জান্তা সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, অং সান সু চি সুস্থ আছেন। জান্তা নিয়ন্ত্রিত ‘মিয়ানমার ডিজিটাল নিউজ’-এ প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে তার শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত কোনো তথ্য বা প্রমাণ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানার জন্য সু চি’র ছেলে কিম আরিসের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চিকে আটক করা হয়। নির্বাচনী অনিয়ম, উসকানি ও দুর্নীতির অভিযোগে জান্তা নিয়ন্ত্রিত আদালত তাকে মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এই নোবেলজয়ী নেত্রী।
ভিওডি বাংলা/জা







