• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক    ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৬ পি.এম.
দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ড. আব্দুল মঈন খান-ছবি-ভিওডি বাংলা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাজ হবে না। আমরা আবারও ফ্যাসিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে চাইনা। অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।   

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। "মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট" শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ২০৫০ সালে ঢাকা শহর হবে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তম শহর। তবে সেই শহরকে আমরা কিভাবে পরিচালনা করবো সেটি ভাবার বিষয়। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী না হলেও ইনফরমাল ইকোনমি দিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন তাদেরকে এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ সেবার পরিবর্তে আত্মসেবা শুরু করেছিলো। যাকে অলিগার্কি ব্যবস্থা বলা যায়। তারা মূলত সমাজের ধনী লোকদের দিয়ে অলিগার্ক কায়েম করেছিল। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন। 

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি। এই গণতন্ত্রের জন্য তো একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার তথা মুক্তির জন্য তো মানুষ যুদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা অতীতে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে দিচ্ছেন তাদেরকে এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে তারা কেনো ব্যর্থ? আগামীতে যারা নেতৃত্ব দিবেন তাদেরকে সেই প্রতিশ্রুতি বা আশার কথা বলবেন যে তারা ক্ষমতায় গেলে এসবের সমাধান করবেন।

তিনি বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অবিরাম যুদ্ধ চলছে। মনে হয় চিরন্তন সংগ্রাম। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে তারা সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে স্বাপ্নিক দেশে পরিণত করবে। তবে সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা থেমে থাকেনি। সংস্কারের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছেছি।

মঈন খান বলেন, আমরা সার বছর ধরে দিবসগুলো পালন করছি। কিন্তু অর্জন কী? ৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এতো কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারেনা।

তিনি বলেন, গত ৫৪ বছরে যখনই কোনো স্বৈরশাসক দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তখনই কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছে। আজকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো নিষ্ঠুর। কারণ মানুষের অনুভূতিরে ভোঁতা করে দেয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করেনা। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদেরকে সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপু, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. শফিউল্লাহ ঝিন্টু, ডা. সামিউল হাসান বাবু, ডা. মাসুদ আক্তার জীতু, ডা. আলমগীর হোসেন জনি, ডা. মো. জাফর ইকবাল, আবু নাসের, ডা. শামসুল আলম, ডা. আতিকুর রহমান সুজন, ডা. ফরহাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ডা. এরফান আহমেদ সোহেল, সহদপ্তর সম্পাদক আবু নুর, মো. মাসুদ রানা, সহ দপ্তর সম্পাদক ডা. কায়সার ইয়ামিন ঈষাদ, সহদপ্তর সম্পাদক ডা. সফিকুল ইসলাম, ডা. গালিব হাসান, ডা. রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. আমিরুল ইসলাম পাভেল ও ডা. রেদওয়ান প্রমুখ।

ভিওডি বাংলা/সবুজ/জা  

 

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন হাদির স্বাস্থ্য স্থিতিশীল
ইনশাআল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব : তারেক রহমান
ইনশাআল্লাহ ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব : তারেক রহমান
‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা জুলাই ঐক্যের
‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা জুলাই ঐক্যের