তরুন ভোটাররাই নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশ: মিলন

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেন, শরীর চর্চা করলে মন ভাল থাকে। খুব তাড়াতাড়ি নিজেদেরকে পরিচিতি করা যায়। এছাড়াও দ্রুত সকলেই সুসংগঠিত হতে পারে। এই খেলাধুলার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ে। ক্রীড়া হচ্ছে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। খেলাধুলা অসৎ সঙ্গ থেকে বিরত রাখে। খেলার মাধ্যমে যে ভাবে পরিচিতি পাওয়া যায়, একজন রাজনীতিবিদও এত দ্রুত তা পায়না।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পবার পারিলা ইউনিয়নের কেচুঁয়াতৈল ঈদগাহ মাঠে বিজয়-৭১ ক্লাব এর আয়োজনে এনসিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মধ্যেও রাজনীতি আছে। বিশ্বে সব থেকে বেশী রাজনীতি চলে খেলাধুলার মধ্যে। ক্রীড়া হচ্ছে সমাজের একটি অন্যন্য মাধ্যম। এজন্য খেলা ধুলার যে সুযোগ সুবিধা থাকার কথা বা করে দেয়ার কথা তা তারা করে দিতে পারেননি। খেলাধুলার পরিবেশ তৈরী করতে হবে। অনেক জায়গায় খেলার মাঠ নাই। এই মাঠও নিরাপদ নয়। অনেক সমতয়ে দখল করার জন্যা বিভিন্ন বাহিনী চলে আসে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ঘুনেধরা রাষ্ট্রকে সচল করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১দফা ঘোষনা করেছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে ক্রীড়া একটি অন্যতম দফা। এই দফায় চতুর্থ শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক খেলাধুলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপি খেলার পরিবেশ তৈরী করে দেবে। এটা বিএনপির অঙ্গিকার। ২০২৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির ইস্তহারে এটা থাকবে। আগামীতে জনগণের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার জন্য বিএনপি দ্বায়বদ্ধ। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মিলন আরও বলেন, জনগণের ক্ষমতা যদি চুরি বা খর্ব করা হয়। তা ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্ব সাধারণের নিকট সকল পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। দেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতার ঘোষনা করেছিলেন এবং নিজেও যুদ্ধ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার অনেক পরে তিনি দল গঠন করেছিলেন। তবে এককভাবে মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট নিতে তিনি দল গঠন করেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন আরও বলেন, সর্বশেষ ৫ আগস্ট সবাই মিলে যে আওয়ামী সরকারকে বিতারিত করা হলো তার ক্রেডিট যেন কেউ একা নিতে না যায়। এটা একার কোন ক্রেডিট নেই। তিনি শহীদ হাদির কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি ছিলেন একজন তরুন ও উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যক্তি। তার মধ্যে অনেক কিছু ছিলো। আগামীতে এই ধরনের সন্তানদের দেশে অনেক প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি। হাদির জন্য মন কাঁদে। এই বিজয়ের মাসে তার জন্য সবার মন কাঁদে। তিনি তার জন্য দোয়া করেন। সেইসাথে সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে তরুনরা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারন দেশে যে সাড়ে তিনকোটি তরুন ভোটার রয়েছেন তারাই নির্ধারণ কররে আগামীর বাংলাদেশ। সেজন্য এমন কোন কিছু করা যাবেনা যা পতিত স্বৈরাচারদের আবারু মাথাচাঁড়া দিতে সাহায্য করে। হাদির খুনিদের কঠোর বিচার চান তিনি। সেইসাথে আইন নিজ হাতে তুলে না নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান। বক্তব্য শেষে তিনি নিজে ব্যাট করে দুইদিনব্যাপি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম, সদস্য সচিব সহকারী শিক্ষক মোকলেসুর রহমান রেন্টু, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, পারিলা ইউপি ৮নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কাশেম, পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ ছোট ও পবা উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পারিলা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিলন ইসলাম। এছাড়াও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী, এলাকবাসী ও খেলোয়ারগণ উপস্থিত ছিলেন। অত্র টুর্নামেন্টে মোট চারটি দল অংশগ্রহন করছে। আজ চুড়ান্ত পর্বেও মধ্যে দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ বলে জানান আয়োজক কমিটি।
ভিওডি বাংলা/ রমজান আলী/ আরিফ







