মিমি-অঙ্কুশসহ একাধিক তারকার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

‘ওয়ানএক্সবিট’ নামে একটি বেআইনি বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি রুপির প্রতারণার অভিযোগে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ মামলায় টালিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী এবং অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
প্রায় এক মাস আগে এ সংক্রান্ত মামলায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ইডি। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক অভিনেতা, নেটপ্রভাবী ও সাবেক ক্রিকেটার। এর মধ্যে দক্ষিণী তারকা রানা দগ্গুবতী, বিজয় দেবেরাকোন্ডা, কপিল শর্মাসহ বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখের নাম উঠে আসে। টালিউড থেকে প্রথমবারের মতো এ তালিকায় যুক্ত হন মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরা।
তদন্তের অংশ হিসেবে প্রায় দুই মাস আগে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় মিমি ও অঙ্কুশকে। এরপরই মামলাটি নতুন মোড় নেয় এবং একাধিক তারকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে একই মামলায় সাবেক ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের ৪ কোটি ৫০ লাখ রুপি এবং সুরেশ রায়নার ৬ কোটি ৬৪ লাখ রুপির মিউচুয়াল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়। যদিও অভিযুক্তদের বেশিরভাগই দাবি করেছেন, তারা আর্থিক অনিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং নির্দিষ্ট চুক্তির আওতায় প্রচারমূলক কাজে যুক্ত ছিলেন।
দুর্গাপূজার আগে আইনি জটিলতায় পড়েন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। এ প্রসঙ্গে এক গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “বিষয়টি পুরোপুরি আমার আইনজীবী দেখছেন, তাই এ মুহূর্তে আমি কিছু বলতে পারছি না।”
ইডির অভিযোগ, বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলোর প্রচারের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট তারকারা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তদন্তকারীদের ধারণা, এসব অ্যাপ অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করে হাওয়ালার মাধ্যমে তা স্থানান্তর করেছে।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১৯ কোটি ৭ লাখ রুপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যুবরাজ সিংয়ের কাছ থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ, রবিন উথাপ্পার ৮ লাখ ২৬ হাজার, উর্বশী রাউতেলার ২ কোটি ২ লাখ, নেহা শর্মার ১ কোটি ২৬ লাখ, সোনু সুদের ১ কোটি, মিমি চক্রবর্তীর ৫৯ লাখ এবং অঙ্কুশ হাজরার কাছ থেকে ৪৭ লাখ ২০ হাজার রুপির সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/জা



