চাটমোহর
মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যে স্বজনপ্রীতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি

পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা সিদ্দিকীয়া দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এই অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চেীধুরী।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয় এবং আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন কে। আর দুই সদস্য হলেন, সহকারী প্রোগ্রামার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর চাটমোহর উপজেলাধীন জগতলা দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় ৪টি পদের বিপরীতে নিয়োগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম, দুর্ণীতি হয়েছে এমন একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দশ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক কমিটিকে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পরবর্তী প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মাদ্রাসার সভাপতি বুলবুল আহমেদ ও সুপার আবুল হোসেন যোগসাজশে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিনিময়ে নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একজন চাকুরী প্রার্থী।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মাদ্রাসার সভাপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বুলবুল আহমেদ ও মাদ্রাসার সুপার আবুল হোসেন নিজেরা যোগসাজস করে অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য করে চারটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। সভাপতি বুলবুল আহমেদ তার আপন ফুপাতো ভাই তারেক মাহমুদ কে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে এবং আপন চাচাতো বোন রাবেয়া খাতুনকে আয়া পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে নিয়োগে সুপারিশ করেছেন।
অন্যদিকে সুপার আবুল হোসেন মোটা অংকের টাকায় তার পরিচিত আলমগীর হোসেন নামের একজনকে ল্যাব সহকারি পদে এবং স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের ভাতিজা নয়ন হোসেনকে নিরাপত্তা কর্মী পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভিওডি বাংলা/ এম এস রহমান/ আ







