বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের টানাপোড়েন

আসন সমঝোতা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সম্পর্কের টানাটানি চলছে। গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে গত অক্টোবরে বিএনপির কাছে ৩৫টি আসনের তালিকা জমা দেওয়া হয়। পরে তালিকা কাটছাঁট করে ২৫ আসনে নামানো হয়। তবে গত রোববার রাতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ১০টি আসনের দাবি তোলে গণঅধিকার পরিষদ। এর মধ্যে নিম্নকক্ষে সাতজন, উচ্চকক্ষে দুজন এবং একজন নারী সংরক্ষিত আসন।
বিএনপির পক্ষ থেকে নিম্নকক্ষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জন্য পটুয়াখালী-৩, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের জন্য ঝিনাইদহ-২ আসন ছাড় দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি উচ্চকক্ষ ও সংরক্ষিত আসনের দাবি মানার কথাও জানানো হয়। তবে এতে রাজি হননি গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারা নিম্নকক্ষে চারটি আসনের কম মানবেন না বলে জানান। এতে সমঝোতা ভেস্তে যায়।
জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাসান মামুন বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে কোনো জোট বা আসন সমঝোতায় যাবে না গণঅধিকার পরিষদ। গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দলটির নেতাকর্মীরা জানান, আসন সমঝোতায় দলের সিনিয়র সভাপতি ফারুক হাসান ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাসান মামুনের আসন নিশ্চয়তা না পাওয়ায় দল বিভক্ত হয়ে পড়ে। বিএনপির সঙ্গে দুই আসন নিয়ে সমঝোতা হলে দলটি ভেঙে যেতে পারে– এই আশঙ্কা থেকে বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে।
সূত্র জানায়, গণঅধিকার পরিষদ না গেলেও তাদের কেউ কেউ বিএনপিতে যোগদান করে নির্বাচন করার সম্ভাবনার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ





