ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে কনকনে হিমশীতল ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো জনপদে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে শীতের প্রকোপ আরও বেড়েছে।
এদিকে কয়েক দিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। হিমেল বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার কারণে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। শীতে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সীমাহীন কষ্টে রয়েছেন পাথর, চা, রিকশা, ভ্যানচালক ও কৃষি শ্রমিকরা। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রিকশা-ভ্যানে উঠতে চায় না। কনকনে শীতের কারণে দৈনন্দিন আয় কমে গেছে এসব শ্রমজীবী মানুষের। সকাল বেলা ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়া মানুষ গরম কাপড় পরে বের হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঘনকুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে শীতের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক রোগী সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিশু ও বয়স্কদের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতেও চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে অনেককে।
ভিওডি বাংলা/জা




