১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

জাতীয় পার্টি ও জেপির নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট ১১৯ আসনে, ১৩১ জন প্রার্থীর ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনের বলরুমে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার,জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশিদ ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন।

ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি ও ফ্রন্টের চেয়ারম্যান
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৫, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ফিরোজপুর-২, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-১, এড. কাজী ফিরোজ রশিদ, ঢাকা-১০, এড. মুজিবুল হক চুন্নু, কিশোরগঞ্জ-৩, মাদারীপুর-৩ আসনে জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, ফরিদপুর-২ আসনে সাবেক অম এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, নাসরিন জাহান রতনা, বরিশাল-৬, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ঢাকা-১৩, লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৩, জহিরুল ইসলাম জহির, টাঙ্গাইল-৭ মোস্তফা আল মাহমুদ, জামালপুর-২, সৈয়দ দিদার বখত, সাতক্ষিরা-১, ফকরুল ইমাম, ময়মনসিংহ-৮, জিয়াউল হক মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, জাতীয় ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের অহেদ ফারুক, নোয়াখালী-১, ঢাকা-১৭ আসনে প্রয়াত জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হান, একই আসনে তৃণমূল বিএনপি'র মেজর অব. ডাক্তার শেখ হাবিবুর রহমান ও শেরপুর-১ আসনে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের চেয়ারম্যান আবু লায়েস মুন্নাকে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ফ্রন্টের এর পক্ষ থেকে ঘোষিত জাতীয় পার্টির অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, নুরুল ইসলাম মিলন, কুমিল্লা-৮, (সাবেক এমপি), নুরুল ইসলাম ওমর, বগুড়া-৬ (সাবেক এমপি), ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, সিলেট-২ (সাবেক এমপি) মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৩ (সাবেক এমপি), পনির উদ্দিন আহম্মেদ, কুড়িগ্রাম-২ (সাবেক এমপি), নাজমা আক্তার, ফেনী-১ (সাবেক এমপি), সিরাজুল ইসলাম চৌধরী, চট্টগ্রাম-১২ (সাবেক এমপি), মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৭ (সাবেক এমপি), এড. আব্দুস সালাম চাকলাদার, টাঙ্গাইল-৫ (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), ইঞ্জিনিয়ার মামুন অর রশীদ, জামালপুর-৪ (সাবেক এমপি), সোলায়মান আলম শেঠ, চট্টগ্রাম-৯, তপু রায়হান, ঢাকা-১৭, মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া, নেত্রকোনা-৩, সরদার শাহজাহান, পাবনা-১, মোবাবর হোসেন আজাদ, নোয়াখালী-৪, ফকরুল আহসান শাহজাদা, বরিশাল-৩, মো. বেলাল হোসেন, লক্ষীপুর-১, আমানত হোসেন আমানত, ঢাকা-১৬, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, ঢাকা-১৪, শাহ জামাল রানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, মাতলুব হোসেন লিয়ন, সাতক্ষীরা-২, মো. ইলিয়াস উদ্দিন, শেরপুর-১, মো. আবু সালেক, পঞ্চগড়-১, এডভোকেট সেরনিয়াবাদ সেকান্দার আলী, বরিশাল -১, মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-১, রাশেদুল ইসলাম, নীলফামরী-৪, নিগার সুলতানা রানী, লালমনিরহাট-২, আব্দুস সাালাম, রংপুর-৪, শফিকুল ইসলাম বাদশাহ মিয়া, গাইবান্ধা-১, আওলাদ হোসেন, জয়পুরহাট-১, বরুন সরকার, রাজশা্হী-১, অধ্যাপক কামরুজ্জামান, রাজশা্হী-৩, আসাদুজ্জামান, রাজশাজী-৫, মো. ইকবাল হোসেন, রাজশা্হী-৬, আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজগঞ্জ-৩, এস এম হামেস রাজু, সিরাজগঞ্জ-৪, তরিকুল ইসলাম স্বাধীন, পাবনা-৬, সাজ্জাদ হোসেন সেনা, কুষ্টিয়া-৪, মো. শফিকুল ইসলাম, যশোর-৩, আব্দুল লতিফ রানা, যশোর-৬, সুমন ঘো্ষ, মাগুরা-১, আলমগীর সিকদার, মাগুরা-২, এস এম আল যোবায়ের, বাগেরহাট-১, মাইনুল হাসান রাসেল, বরগুনা-১, মো. মহসিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পটুয়াখালী-৪, গাজী সোহেব কবির, বরিশাল-৪, এম এ কুদ্দুস খান, ঝালকাাঠি-২, ডা. সেলিমা খান, ঝালকাঠি-১, সেকান্দার আলী মুকুল বাদশা, পিরোজপুর-৩, মো. আব্দুল হালিম, টাঙ্গাইল-৩, মো. রেজাউল করীম, টাঙ্গাইল-৮, ইদি আমিন এপোলো, ঢাকা-৯, এস এম আমিনুল হক সেলিম, ঢাকা-১১, হাজী নাসির উদ্দিন সরকার, ঢাকা-১২, এডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ, শরিয়তপুর-১, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, শরিয়তপুর-২, ম. ম ওয়াসিম, শরিয়তপুর-৩, মোখলেসুর রহমান বস্তু, জামালপুর-৪, মো. ইলিয়াস উদ্দিন, শেরপুর-১, জাহাঙ্গির আহমেদ, ময়মনসিংহ-৪, মো. আলমগীর হোসেন, কুমিল্লা-৩, এইচ এম এন শফিকুর রহামন, কুমিল্লা-১১, জাফর আহমেদ রাজু, ফেনী-২, ফজলে এলাহি সোহাগ মিয়া, নোয়াখালী-৩, মো. শামসুল আলম, ককসবাজার-১, এডভোকে মো. তারেক, ককসবাজার-৩, মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, নোয়াখালী-৫, এডভোকেট নাসির উদ্দিন বায়জিদ, নোয়াখালী-৬, শেখ মোহা্. ফায়িজ উল্লাহ স্বপন, লক্ষীপুর-২, জহিরুল ইসলাম রেজা, চট্টগ্রাম-২, এম এ সালাম, চট্টগ্রাম-৩, মো. নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৭, এম এ মঞ্জুর মাষ্টার, ককসবাজার-৪, শেখ মোহাম্মদ আলী, ঢাকা-১৮
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও শেখ শহিদুল শহিদুল ইসলাম ছাড়াও
জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থীরা হলেন, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, কক্সবাজার, মো. রুহুল আমিন, কুড়িগ্রাম-৪ (সাবেক এমপি), মাহিন হোসেন, ঝালকাঠী-২, এড. এনামুল ইসলাম রুবেল, ঝালকাঠী-১, জনতা পার্টি বাংলাদেশের মো. আসাদুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও-৩, শওকত মাহমুদ, কুমিল্লা-৫,এড. মো. আবদুল্লাহ, শেরপুর-১
জাতীয় ইসলামী মহাজোটের গোলাম মোর্শেদ রনি, নারায়নগঞ্জ-৪, তৃর্ণমূল বিএনপির, কে এম জাহাঙ্গীর, ঝিনাইদাহ-২, দীপক কুমার পালিত, চট্টগ্রাম-৯, টি এম জহিরুল হক তুহিন, বরিশাল-৬, ইঞ্জি. শেখ শাহীন রহমান, খুলনা-৪, লায়ন আফরোজা বেগম, ঢাকা-১৮ বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শাহ জামিল আমিরুল, মেহেরপুর-২ বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টির মির্জা আজম, খুলনা-১, প্রফেসার হুমায়ুন কবির, কুমিল্লা-৫, ডাক্তার মুনির হোসেন, চাঁদপুর-৩, আলহাজ্ব শরীফ শাকি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩
এ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেটিক পার্টির
এম আর করিম, টাঙ্গাইল-২, মো. সেলিম রেজা, নওগাঁ-৫ ডেমোক্রেটিক পার্টির এস এম আশিক বিল্লাহ, নড়াইল-১, এস এম খায়রুজ্জামান, ঢাকা-১৫, আতাউর রহমান বিল্লাহ, গাইবান্ধা-৪ (সাবেক এমপি) আসলে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়াও অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছে নাগরিক পার্টির লস্কর হারুন অর রশীদ, ঢাকা-১০, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এ আর এম জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ঝালকাঠী-২ ,লিবারেল গ্রীন পার্টির খোকন চন্দ্র মজুমদার, ফেনী-৩, জাতীয় জোটের সরদার মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার, নওগাঁ—৬, মো. সিরাজুল ইসলাম, হবিগঞ্জ—৪, মো. মোস্তফা কামাল বাদল, টাঙ্গাইল-৮ বাংলাদেশ জাতীয় দলের মো. জামাল হোসাইন, বরগুনা-১, বিলকিস সুলতানা, চট্টগ্রাম-১০
জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মো. মিজানুর রহমান মিজু, ঝিনাইদাহ-২, জয় প্রকাশ নারায়ণ রক্ষিত, চট্টগ্রাম-১৩ জাসদ শাহজাহান সিরাজের মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, মানিকগঞ্জ-৩, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল, বরিশাল-৪ ও সার্বজনীন দলের নূর মো. মনির, শরিয়তপুর-১ আসলে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন।
যে সকল আসনে দু’জন প্রার্থী দেয়া হয়েছে :
ঢাকা-১০, বরিশাল-৬, ঢাকা -১৭, চট্টগ্রাম -৯, শেরপুর-১, শরীয়তপুর ১, ঢাকা ১৮, বরগুনা ১, বরিশাল-৪ ঝালকাঠি -২ ও টাঙ্গাইল ৮।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই
স্বাগত বক্তব্যে রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে মব সন্ত্রাস চলছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, রাজনৈতিক নেতা ও দেশ বরেণ্য সাংবাদিক কেউ মবের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
কয়েকদিন আগে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগ, নুরুল কবিরের মত বরেণ্য সাংবাদিককে নাজেহাল, ময়মনসিংহে প্রকাশ্যে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মেরে তার মরদেহে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, লক্ষ্মীপুর বিএনপি নেতার বাড়িতে আগুন দিয়ে তার শিশু কন্যাকে হত্যা, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ও ছায়ানটে ভাঙচুর হামলা, উদিচি, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় সরকারি হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার অপচেষ্টা, সোমবার খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রকম নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
গণমাধ্যমে অগ্নিসংযোগ ও হামলার মধ্য দিয়ে, মনে হয় আমরা মধ্যযুগে যাত্রা শুরু করেছি। স্বয়ং নুরুল কবির বলেছেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় আগুন লাগিয়ে সাংবাদিকদের পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার আগুন দেয়া হয়েছে।
মাহফুজ আনাম সাহেব বলেছেন, দেশে বর্তমানে মত প্রকাশ তো দূরের কথা বেঁচে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এই অবস্থায় কিভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
হাওলাদার বলেন, দেশে এখন অনিরাপদ ও অগ্নিগর্ভ। সাথে চলছে ভয়াবহ মত সন্ত্রাস। এ অবস্থায় সরকার কিভাবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিবে, তা আমাদের জানা নেই।
ভিওডি বাংলা/জা





