• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সাবেক ছাত্রনেতাদের স্বাগত মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক    ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৫ পি.এম.
তারেক রহমানের দীর্ঘ সতের বছর পর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে স্বাগত মিছিল করেছে ছাত্রদল-ছবি-ভিওডি বাংলা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ সতের বছর পর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে স্বাগত মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদল। 

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)-এর বটতলা থেকে শুরু করে শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্যভবনে গিয়ে শেষ হয়।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহ সভাপতি এবং বিএনপি'র নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমিটি'র সদস্য ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, বিএনপি'র আইটি সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তাসহ, বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠন, ডাক্তার, ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা।

মিছিল-পূর্বক এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ঢাকায় আসছেন।’

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালের মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার ছিল শেখ হাসিনারই সমর্থিত সরকার। সেই সরকারের সময় বিনা কারণে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়,  নির্মম শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সেই নির্যাতনের পর ওনাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পরে শেখ হাসিনার সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়। ১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের লাশ ও জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।’

বিএনপির এই মুখপাত্র  বলেন, ‘জিয়া পরিবার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবার। এই পরিবারই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে।  বেগম খালেদা জিয়া একজন নির্ভীক সৈনিকের মতো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা কোনো চক্রান্ত বাদ দেয়নি।

তারেক রহমানের আগমন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি তার মাকে দেখে বাসায় ফিরবেন।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে তার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি। সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দলীয়ভাবেও নেতাকর্মীরা তার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবেন ইনশাআল্লাহ।’

তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা যাবে না। তিনি তার মাকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে অবস্থান করবেন।’  

ভিওডি বাংলা-সবুজ/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জমিয়তকে ৪ আসনে ছাড় বিএনপির
জমিয়তকে ৪ আসনে ছাড় বিএনপির
বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের টানাপোড়েন
বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের টানাপোড়েন
নিরপরাধ ব্যক্তি হিসেবেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
নেপথ্যে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম নিরপরাধ ব্যক্তি হিসেবেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান