জোটের সমঝোতায় বাদ পড়লেন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার–ডিমলা) আসনে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জিনিয়ার তুহিনকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। আজ (২৩ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায়, এই আসনে বিএনপির পরিবর্তে জোট প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলীয় প্রার্থীর বদলে জোটের প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে কাজ করেছেন এবং এলাকায় তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাদের মতে, স্থানীয় বাস্তবতা ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে জোটের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, এই সিদ্ধান্ত দলের সাংগঠনিক শক্তিকে দুর্বল করতে পারে এবং নির্বাচনী মাঠে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আবার অনেকের অভিযোগ, জোট প্রার্থীকে এলাকার সাধারণ মানুষ তেমনভাবে চেনেন না।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিএনপির হাইকমান্ড কিংবা মনোনীত জোট প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ভোটারদের একটি বড় অংশ বলছেন, “এবার আমরা কোনো প্রতীক নয়, যোগ্য ব্যক্তি দেখে ভোট দেব।” তাদের মতে, ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিন মনোনয়ন পেলে এলাকায় উন্নয়নের সম্ভাবনা আরও বেশি থাকত।
এই আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
ভিওডি বাংলা/জা






