পাবনা-৩
গণঅধিকার পরিষদের ট্রাকে উঠলেন বিএনপি'র মনোনয়ন বঞ্চিত রাজা

বিএনপি'র দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে নতুন অবস্থান নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ না পেয়ে ট্রাকে উঠেছেন। গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতিক নিয়ে তিনি এবার পাবনা-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন রাজা। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক নূর (ভিপি নুর), কেন্দ্রীয় মুখপাত্র ফারুক হাসানসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) চাটমোহর উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি সোহানুর রহমান সাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাবনা-৩ আসন (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) থেকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে এমপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন আলহাজ্ব মো. হাসানুল ইসলাম রাজা।
দলীয় সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজা বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালান। একইসঙ্গে তিনি এলাকায় ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অবস্থান নেন, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফর তুহিনকে পাবনা-৩ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে স্থানীয় প্রার্থী দাবিতে রাজা প্রকাশ্য আন্দোলনে নামেন। দলের ভেতর থেকে বারবার দাবি উত্থাপন করলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এরই মধ্যে তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরীর কাছ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র/বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রায় সাত হাজার ভোট পেয়েছিলেন হাসানুল ইসলাম রাজা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে এবং এতে পাবনা-৩ আসনের নির্বাচনী হিসাব আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
এ ব্যাপারে হাসানুল ইসলাম রাজার সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে, তার ঘনিষ্ট একটি সুত্র জানায়, স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থী হলে রাজনৈতিক মারপ্যাঁচে তার মনোনয়ন বাছাইকালে বাতিল করে দিতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে তিনি একটি দলের প্রতিকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভিওডি বাংলা/ এম এস রহমান/ আ






