বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৭

তুরস্ক থেকে লিবিয়ায় ফেরার পথে একটি প্রাইভেট জেট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধান মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চারজন লিবিয়ার সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন বিমানের ক্রু সদস্য রয়েছেন।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি দুর্ঘটনাটিকে ‘মর্মান্তিক’ বলে উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আঙ্কারা সফর শেষে ত্রিপোলির উদ্দেশে রওনা হওয়া প্রাইভেট জেটটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ডেবেইবা বলেন, এই দুর্ঘটনা জাতি, সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। নিহত কর্মকর্তারা আন্তরিকতা, দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেমের সঙ্গে রাষ্ট্রের সেবা করেছেন।
নিহত অন্য কর্মকর্তারা হলেন-গ্রাউন্ড ফোর্সেস চিফ অব স্টাফ আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক মাহমুদ আল-কাতাউই, আল-হাদ্দাদের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব এবং সামরিক ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে তুরস্কের এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেয়। পাইলটরা জরুরি অবতরণের অনুমতি চাইলেও তার আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টরেটের প্রধান বুরহানেত্তিন দুরান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, বিমানে মোট আটজন ছিলেন—লিবিয়ার পাঁচজন যাত্রী ও তিনজন ক্রু। তারা বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে জরুরি অবতরণের আবেদন করেছিলেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, আঙ্কারা থেকে উড্ডয়নের পর প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হায়মানা অঞ্চলের কেসিককাভাক গ্রামসংলগ্ন এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে প্রযুক্তিগত ত্রুটিজনিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো নাশকতা বা সন্ত্রাসী হামলার আলামত পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, তুর্কি সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে লিবিয়ার প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় গিয়েছিলেন এবং লিবিয়া সরকার ভাড়া করা প্রাইভেট জেটেই তারা সফর করেন।
ভিওডি বাংলা/জা






