• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

বিশ্বজুড়ে ২৫ ডিসেম্বর পালিত হয় বড়দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২১ এ.এম.
যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন হিসেবে স্বীকৃত এই তারিখের পেছনে রয়েছে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হয় যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়দিন। তবে বাইবেলের কোথাও যিশুর জন্মের নির্দিষ্ট তারিখের উল্লেখ নেই। এমনকি শুরুর দিকের খ্রিস্টানরাও যিশুর জন্মদিন আলাদা করে পালন করতেন না। তাহলে কেন ২৫ ডিসেম্বরকেই বেছে নেওয়া হলো এই মহান উৎসবের জন্য?  

ইতিহাসবিদদের মতে, এর পেছনে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস, প্রাচীন রোমান ঐতিহ্য এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক অনন্য সংযোগ।

প্রাচীন রোমান উৎসবের প্রভাব

প্রাচীন রোমে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ‘সাটারনালিয়া’ নামে এক জনপ্রিয় উৎসব পালিত হতো। পাশাপাশি ২৫ ডিসেম্বর ছিল সূর্যদেবতা ‘সল ইনভিক্টাস’-এর জন্মদিন হিসেবে পরিচিত। রোমানরা বিশ্বাস করত, এই সময় থেকে সূর্যের আলো আবার বাড়তে শুরু করে। চতুর্থ শতাব্দীতে খ্রিস্টধর্ম রোমে বিস্তার লাভ করলে প্যাগান সংস্কৃতির পরিবর্তে খ্রিস্টীয় উৎসব চালু করার প্রয়াস নেওয়া হয়।

পোপ জুলিয়াসের সিদ্ধান্ত

৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে রোমান ক্যালেন্ডারে প্রথমবার ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। পরে পোপ জুলিয়াস আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটিকে বড়দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। ধারণা করা হয়, এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ সহজ হবে-এই চিন্তা থেকেই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়।

শীতকালীন অয়নকাল ও আলোর প্রতীক

উত্তর গোলার্ধে ২১ বা ২২ ডিসেম্বর বছরের সবচেয়ে ছোট দিন ও দীর্ঘতম রাত হয়। এরপর দিন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। যিশুকে খ্রিস্টানরা ‘বিশ্বের আলো’ হিসেবে বিবেচনা করেন। তাই অন্ধকার কাটিয়ে আলোর ফিরে আসার সময়টিকে তার আগমনের প্রতীকে রূপ দেওয়া হয়।

বিতর্ক ও ঐতিহাসিক প্রশ্ন

বাইবেলে বলা হয়েছে, যিশুর জন্মের সময় মেষপালকেরা খোলা আকাশের নিচে ভেড়া চড়াচ্ছিলেন। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, ফিলিস্তিনের ডিসেম্বরের শীতে এটি সম্ভব ছিল না-তাই যিশুর জন্ম বসন্তকালে হয়ে থাকতে পারে। তবু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ২৫ ডিসেম্বরের ঐতিহ্য এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে এটিই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তারিখে পরিণত হয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর যিশুর প্রকৃত জন্মদিন কি না-তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এর তাৎপর্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এই দিনটি এখন কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং শান্তি, ক্ষমা ও মানবতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। বড়দিনের মূল শিক্ষা হলো-অন্ধকার পেরিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়া।

ভিওডি বাংলা/জা

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৭
বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ৭
ভারত বাংলাদেশে নজর দিলে জবাব দেবে পাকিস্তান: কামরান
ভারত বাংলাদেশে নজর দিলে জবাব দেবে পাকিস্তান: কামরান
মেক্সিকান নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫
মেক্সিকান নৌবাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৫