তারেক রহমান বললেই চুল কাটাবেন বিএনপির ‘ক্ষ্যাপাটে’: পাগলা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় ছুটে এসেছেন বিএনপির পরিচিত ‘ক্ষ্যাপাটে’ সমর্থক আনোয়ার পাগলা রিকশাচালক। প্রিয় নেতার আগমনকে ঘিরে তার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। নেচে-গেয়ে উপস্থিত মানুষকে উৎসাহ দিতে দেখা যায় তাকে।
দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসে থাকার পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। তাকে স্বাগত জানাতে রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজন করা হয়েছে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে আগের দিন থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ছোট ছোট মিছিল ও স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
‘মা, মাটি ডাকছে; তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক ভাই বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে’ এবং ‘তারেক রহমান ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’-এমন নানা স্লোগানে তৈরি হয় উৎসবের আমেজ।
সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে নিজের রিকশার ওপর দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে ও গান গাইতে দেখা যায় আনোয়ারকে। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, Ôমঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে এখানে এসেছি। একবার নেতাকে দেখে তারপর যাব। আমার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মানুষ আমাকে তিন নামে চেনে-আনোয়ার পাগলা, বিএনপির পাগলা আর আনোয়ার পাগলা রিকশাচালক।’
চুল কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার নেতা তারেক রহমান কাল দেশে আসবেন। লাখ লাখ মানুষ তাকে দেখতে এসেছে। কোনোদিন যদি সরাসরি নেতার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাই আর তিনি যদি বলেন-তখনই চুল কাটাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের বক্তৃতা আমার খুব ভালো লাগে, হৃদয় ছুঁয়ে যায়। হাসিনার আমলে ১৭ বছর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি, ব্যথা পেয়েছি। তারপরও বিএনপির পাশেই ছিলাম। বিএনপি ও তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তাদের ছবি ফ্রেম করে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি।’
কাজ ফেলে সংবর্ধনাস্থলে থাকায় আয়-রোজগারের ক্ষতি হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাত্র তো তিন দিন। নেতার জন্য ১০ দিন রিকশা না চালালেও সমস্যা নেই। আমার পরিবার আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেলেও খুশি থাকবে।’
উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমান এতদিন দেশে ফিরতে পারেননি।
ভিওডি বাংলা/জা




